Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ভারতে রেকর্ড মৃত্যুর মধ্যেই চলছে কুম্ভমেলা, লাখো মানুষের ভিড়

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৪ এপ্রিল, ২০২১, ১২:৩৪ পিএম | আপডেট : ১২:৪৬ পিএম, ১৪ এপ্রিল, ২০২১

ভারতে আবারও করোনায় মৃত্যু ও সংক্রমণের রেকর্ড হয়েছে। মহামারি ছড়াচ্ছে ভয়ঙ্করভাবে, তার মধ্যেই উত্তরাখন্ডের হিমালয় রাজ্যের হরিদ্বার শহরে কুম্ভমেলায় গিয়েছেন লাখ লাখ মানুষ। সেখানে "সামাজিক দূরত্ব একেবারেই মানা হচ্ছে না।

গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এক লাখ ৮৪ হাজার ৩৭২ জন। মহারাষ্ট্রে কার্যত লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। দিল্লিসহ উত্তর ভারতের বিভিন্ন শহরে রাতের কারফিউ জারি করা হয়েছে। ভিড় নিয়ন্ত্রণে কড়াকড়ি হচ্ছে। ব্যতিক্রম শুধু হরিদ্বার। সেখানে কুম্ভ মেলায় শাহি স্নান উপলক্ষে সমবেত হয়েছেন লাখ লাখ মানুষ। স্বাভাবিকভাবেই সেখানে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা অসম্ভব। গঙ্গায় স্নান করার আগে ও পরে মুখে মাস্ক পরাও সম্ভব নয়। সরকারি হিসাব, হরিদ্বারে দুই দিনে এক হাজার মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।

কিন্তু তারপরেও ভিড় কমানোর কোনো চেষ্টা নেই। মুখ্যমন্ত্রী তিরথ সিং রাওয়াত বলেছেন, ''মানুষের স্বাস্থ্য নিশ্চয়ই গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু তাই বলে ধর্মকে অবহেলা করতে পারব না।'' অথচ, এর আগে করোনার প্রকোপ যখন এতটা বাড়েনি, তখন দিল্লিসহ বিভিন্ন শহরে দুর্গা পুজোর উপর প্রবল কড়াকড়ি করা হয়েছিল। ঈদ পালন করতে হয়েছে বাড়িতেই। অধিকাংশ ধর্মীয় উৎসব পালন করা হয়েছে একইভাবে।

মহারাষ্ট্র সরকার ইতিমধ্যেই জানিয়েছে, কুম্ভ ফেরতরা সংক্রমণ আরো বাড়িয়ে দিতে পারে। বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, কুম্ভের কারণে করোনা ভয়ঙ্করভাবে বেড়ে যেতে পারে। একটা হিসাব বলছে, গত সোমবার দ্বিতীয় শাহি স্নানের জন্য ২৮ লাখ মানুষ হরিদ্বারে পৌঁছেছিলেন। তাদের সামলাতে হিমশিম খেয়েছে প্রশাসন।
করোনার প্রথম ঢেউয়ের সময় দিল্লির নিজামুদ্দিনে মুসলিমদের ধর্মীয় সম্মেলনকে দায়ী করা হয়েছিল। সে সময় এ নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে ঝড় উঠেছিল। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী রাওয়াত বলেছেন, কুম্ভের সঙ্গে নিজামুদ্দিনের ঘটনার কোনো তুলনা চলে না। নিজামুদ্দিনে এসেছিলেন মূলত বিদেশিরা। আর কুম্ভে গেছেন দেশের মানুষ। কুম্ভ হচ্ছে খোলা জায়গায়, গঙ্গার ধারে। নিজামুদ্দিনের সম্মেলন হয়েছিল বদ্ধ জায়গায়। আর এখন মানুষজন করোনা নিয়ে অনেক বেশি সচেতন। ১২ বছরে একবার কুম্ভমেলা হয়। এর সঙ্গে মানুষের ধর্মীয় আবেগ জড়িয়ে থাকে। করোনা বিধি মেনে মেলা করাই সরকারের লক্ষ্য। সেজন্য হরিদ্বারে পা দিলেই করোনা পরীক্ষা হচ্ছে। পিটিআই, এনডিটিভি



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভারত


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ