মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
কোভিশিল্ড, কোভ্যাক্সিনের পর করোনার তৃতীয় ভ্যাকসিন পেতে চলেছে ভারত। রাশিয়ার তৈরি স্পুটনিক ভি টিকাকে ছাড়পত্র দিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। রাশিয়ার এই টিকা ৫৯টি দেশে ব্যবহার হচ্ছে এবং এটি ৯১ দশমিক ৬ শতাংশ কার্যকর বলে জানা গিয়েছে। তৃতীয় টিকা হিসাবে এবার ভারতও পেতে চলেছে স্পুটনিক ভি। এর ফলে দেশটিতে টিকার চাহিদা অনেকটাই মিটবে বলে আশা করা হচ্ছে।
ছাড়পত্র দিলেও ভারতে কবে থেকে এর ব্যবহার শুরু হবে এবং কবে এ দেশের বাজারে স্পুটনিক ভি পাওয়া যাবে, তা জানানো হয়নি। রাজ্যে রাজ্যে প্রতিষেধকের ঘাটতি নিয়ে অভিযোগের মুখে টিকার জোগান বাড়াতে মরিয়া কেন্দ্র। সরকারের শীর্ষ সূত্রের খবর, আকাল মেটাতে চলতি বছর জুন থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে আরও পাঁচটি টিকা উৎপাদনকারী সংস্থা ভারতকে প্রতিষেধকের জোগান দেবে। এক সরকারি কর্তার কথায়, ‘বর্তমানে দেশে কোভ্যাক্সিন এবং কোভিশিল্ড বাদে অন্য কোনও প্রতিষেধক ব্যবহার হচ্ছে না। জুন থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে আমরা আরও পাঁচটি প্রতিষেধক হাতে পাব বলে আশা করছি। স্পুটনিক ভি, জনসন অ্যান্ড জনসন, নোভাভ্যাক্স, জাইডাস ক্যাডিলা-র টিকা ও ভারত বায়োটেকের ইন্ট্রান্যাজাল ভ্যাকসিন। এই টিকাগুলিকে ‘নিয়ন্ত্রিত জরুরি প্রয়োগের’ জন্য ছাড়পত্র দেয়ার আগে সুরক্ষা ও কার্যক্ষমতার দিকটি বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে দেখবে কেন্দ্র।’
সব ঠিক থাকলে জুনের মধ্যে ভারতের বাজারে এসে যাবে স্পুটনিক ভি। অগস্টে আসবে জনসন অ্যান্ড জনসন এবং জাইডাস ক্যাডিলা-র প্রতিষেধক, সেপ্টেম্বরের মধ্যে নোভাভ্যাক্স এবং অক্টোবরে ন্যাজাল ভ্যাকসিন। এক স্বাস্থ্য কর্তা বলেছেন, ‘ভারত যাতে সারা বিশ্বের প্রতিষেধক জোগানের কেন্দ্র হয় এবং দেশের মানুষ জন্য যাতে সর্বোচ্চ মানের প্রতিষেধক পর্যাপ্ত পরিমাণে থাকে, তা নিশ্চিত করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ সরকার। তার জন্য টিকা উৎপাদনকারী সংস্থাগুলিকে সব রকম সহযোগিতার জন্য প্রস্তুত।’
তবে এই পাঁচ টিকা বাজারে আসার আগে দেশ জুড়ে প্রতিষেধকের হাহাকারে প্রবল সমালোচনার মুখে কেন্দ্র। টিকার অভাবে জায়গায় জায়গায় বন্ধ হয়ে যাচ্ছে টিকাকরণ কেন্দ্র। করোনা রুখতে কেন্দ্রের ব্যর্থতা নিয়ে মোদির সমালোচনা করেছেন রাহুল গান্ধী। কংগ্রেস নেতার টুইট, ‘করোনা কাবু হচ্ছে না, টিকার অভাব, চাকরি নেই, কৃষক-শ্রমিকদের দুর্দশার দিকে নজর নেই, ক্ষুদ্র, মাঝারি উদ্যোগ সুরক্ষিত নয়, মধ্যবিত্ত সন্তুষ্ট নয়।’ সূত্র: হিন্দুস্থান টাইমস।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।