Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ধর্ষক রুদ্রকে আসামি করে চার্জশিট দাখিল

চাঞ্চল্যকর শিশু ধর্ষণের পর হত্যা

খুলনা ব্যুরো : | প্রকাশের সময় : ১২ এপ্রিল, ২০২১, ১২:০০ এএম

কম্বল দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে খুলনার দৌলতপুর বিণাপানি স্কুলের ৩য় শ্রেণির ছাত্রী অংকিতা দে ছোঁয়াকে প্রথমে ছাদে ওঠায় বাড়িওয়ালার ছেলে প্রীতম রুদ্র। ধর্ষণের আগে ভারী বস্তুদিয়ে মাথায় আঘাত করা হয়। এরপর জ্ঞান হারিয়ে ফেললে তাকে ধর্ষণ করা হয়। ধর্ষণের ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য নাইলনের দড়ি ও পরনের জুতার ফিতা দিয়ে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। এই অভিযোগ এনে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দৌলতপুর থানার এসআই মো. মিজানুর রহমান প্রীতম রুদ্রকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেছেন।

গতকাল রোববার দুপুরে তিনি খুলনা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ অভিযোগপত্র দাখিল করেছেন। আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২২ জানুয়ারি শিশুটি তার বন্ধুদের সাথে খেলা করে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হয়। বাড়ি না ফেরার কারণে পরিবারের লোকজন তাকে খোঁজ করে না পেয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি করে। পরে একটি ভবনের বাথরুম থেকে প্লাস্টিক দিয়ে মোড়ানো অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করা হয়। ওই ঘটনায় তার বাবা থানায় মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য প্রীতমসহ আটজনকে গ্রেফতার করা হয়। পরে ৩০ জানুয়ারি রাত সাড়ে ১২ টায় পুলিশ এ মামলার মূল আসামি প্রীতমকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। সে নিজের দোষ স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জানান, শিশুটিকে কম্বল দেওয়ার কথা বলে প্রথমে ছাদে উঠানো হয়। শিশুটি চিৎকার করলে প্রথমে তার মাথায় আঘাত করা হলে সে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। পরে তাকে ধর্ষণ শেষে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। হত্যার ৬ দিন পর ওই এলাকার একটি ভবনে বাথরুম থেকে প্লাস্টিক দিয়ে মোড়ানো অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করা হয়। বাড়ির মালিকের ছেলে প্রীতম রুদ্রর আচরণ সন্দেহজনক হলে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারের পর সে ঘটনার সব বিবরণ দেয়। মামলাটি দুই মাস ২২ দিন তদন্তের পর চার্জশীট করা হল।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ধর্ষণ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ