মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারতে করোনার দৈনিক নতুন সংক্রমণ শনিবার দেড় লাখের কোটা পেরিয়ে গিয়েছে। তার ফলে দেশটিতে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ৩৩ লাখ। গত ২৪ ঘণ্টায় ৮৩৯ জন করোনা রোগীর মৃত্যু হয়েছে। তাতে মৃতের সংখ্যাও বেড়ে হয়েছে ১ লাখ ৬৯ হাজার জন। এর মধ্যেই রসদ ফুরিয়ে আসায় টিকাকরণের গতি শ্লথ হয়ে পড়েছে বলে একাধিক রাজ্য থেকে আসা অভিযোগ উদ্বেগ আরও বাড়িয়েছে।
রোববার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তরফে প্রকাশিত পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে সংক্রমণ ধরা পড়েছে ১ লাখ ৫২ হাজার ৮৭৯ জনের শরীরে, আগের দিনের তুলনায় যা ৭ হাজার ৪৯৫ জন বেশি এবং দৈনিক সংক্রমণের নিরিখে সর্বোচ্চ। সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত ১ কোটি ৩৩ লাখ ৫৮ হাজার ৮০৫ জন কোভিড-১৯ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এই মুহূর্তে ভারতে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ১১ লাখ ৮ হাজার ৮৭।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কায় যে ভাবে আক্রান্তের সংখ্যা উত্তরোত্তর বেড়ে চলেছে, তাতে রোববার থেকে আগামী ৪ দিন ভারতে ‘টিকা উৎসব’ পালনের ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কিন্তু কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান বলছে, আগের দিনের তুলনায় গত ২৪ ঘণ্টায় টিকাকরণ কমই হয়েছে। শনিবার ৩৭ লাখ ৪০ হাজার ৮৯৮ জনকে প্রতিষেধক দেয়া হয় বলে জানিয়েছিল কেন্দ্র। সেই তুলনায় গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৫ লাখ ১৯ হাজার ৯৮৭ জন প্রতিষেধক পেয়েছেন। অর্থাৎ ২২ হাজার ৯১১ জনের ফারাক।
রোববার মৃতের সংখ্যাও ৮০০ ছাড়িয়ে গিয়েছে। এর মধ্যে মহারাষ্ট্রেই ৩০৯ জন করোনা রোগী মারা গিয়েছেন। ১২৩ জন মারা গিয়েছেন ছত্তীসগড়ে। পাঞ্জাবে ৫৮ জন করোনা রোগীর মৃত্যু হয়েছে। ৪৯ জন মারা গিয়েছেন গুজরাতে। উত্তরপ্রদেশ এবং দিল্লিতে যথাক্রমে ৪৬ ও ৩৯ জন করে মারা গিয়েছেন। ভোটের মরসুমে বাংলায় পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় বাংলায় নতুন করে সংক্রমণ ধরা পড়েছে ৪ হাজার ৪৩ জনের। মৃত্যু হয়েছে ১২ জন করোনা রোগীর। সব মিলিয়ে করোনার প্রকোপে দেশে এখনও পর্যন্ত ১ লক্ষ ৬৯ হাজার ২৭৫ জন প্রাণ হারিয়েছেন।
তবে আগের তুলনায় করোনা পরীক্ষা বেড়েছে ভারতে। গত ২৪ ঘণ্টায় ১৪ লাখ ১২ হাজার ৪৭টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। আগের দিন সংখ্যাটা ছিল ১১ লাখ ৭৩ হাজার ২১৯। প্রতিদিন যতগুলি নমুনা পরীক্ষা হচ্ছে, তার মধ্যে যতগুলির রিপোর্ট পজিটিভ আসছে তাকে সংক্রমণের হার বলা হয়। আগের দিন এই সংক্রমণের হার ১২ দশমিক ৩৯ থাকলেও রোববার তা কমে ১০ দশমিক ৮৩ হয়েছে। এখনও পর্যন্ত গোটা ভারতে নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ২৫ কোটি ৬৬ লাখ ২৬ হাজার ৮৫০টি। সূত্র: এবিপি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।