নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপির শ্রেষ্ঠত্বের মধ্যদিয়েই শনিবার শেষ হয়েছে বঙ্গবন্ধু নবম বাংলাদেশ গেমস। শেষ দিনে শুধুমাত্র পুরুষ ক্রিকেটের ফাইনাল অনুষ্ঠিত হয়। গেমসের ৩১ ডিসিপ্লিনে ৩৮০টি স্বর্ণের মধ্যে ১৩২ সোনা ৮০ রৌপ্য ও ৫৭টি ব্রোঞ্জসহ ২৬৯টি পদক জিতে সবাইকে ছাড়িয়ে এবারও বাংলাদেশ গেমসে শ্রেষ্ঠত্ব দেখালো আনসার। ১১৫ স্বর্ণ, ৯৯ রৌপ্য ও ৮৩ ব্রোঞ্জসহ ২৯৭টি পদক পেয়ে তালিকার দ্বিতীয়স্থানে জায়গা হলো বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর। ৬৩ স্বর্ণ, ৩৯ রৌপ্য ও ২৫ ব্রোঞ্জসহ ১২৭টি পদক জয় করে নৌবাহিনী হয়েছে তৃতীয়। পদক তালিকায় সেরা পাঁচে জায়গা পেয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (বিকেএসপি)। বিজিবি ১৪ সোনা, ১৬ রুপা ও ২৬ ব্রোঞ্জসহ ৫৬ পদক পেয়ে চতুর্থ এবং বিকেএসপি ১০ স্বর্ণ, ১৭ রৌপ্য ও ২৩ ব্রোঞ্জসহ ৫০টি পদক জিতে পঞ্চমস্থান পেয়েছে।
বাংলাদেশ গেমসে বরাবরই ভালো পারফরম্যান্স করে থাকেন আনসারের ক্রীড়াবিদরা। এবারের আসর নিয়ে বাংলাদেশ গেমসে মোট পাঁচবার সেরা হয়েছে সার্ভিসেস এই দলটি। সর্বশেষ ২০১৩ সালে গেমসে সর্বোচ্চ পদক জিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল আনসার। তখন তারা ১১১টি স্বর্ণ, ৭৫টি রুপা ও ৬৪টি ব্রোঞ্জসহ ২৫০টি পদক জিতেছিল। এছাড়া ১৯৯২ সালের গেমসে ৫০ স্বর্ণ, ৪৯ রুপা ও ৩৬ ব্রোঞ্জসহ ১৩৫ পদক, ১৯৯৬ সালে ৭০ স্বর্ণ, ৪৪ রৌপ্য ও ৩৪ ব্রোঞ্জসহ ১৪৮ এবং ২০০২ সালে ৬৫ সোনা, ৬১ রুপা ও ৬৪ ব্রোঞ্জসহ ১৯০টি পদক জিতে সেরার খেতাব পেয়েছিল বাংলাদেশ আনসার। এবার তারা গেমসের ৩১ ডিসিপ্লিনের মধ্যে হকি, বাস্কেটবল, রোইং ও ক্রিকেট ছাড়া বাকি ২৭টিতেই অংশ নিয়েছে। রোালার স্কেটিং, তায়কোয়ান্ডো, উশু এই কয়েকটি ডিসিপ্লিনে মোট ইভেন্টের ৭০-৮০ শতাংশ স্বর্ণপদক জিতেছে আনসার। মূলত এই জায়গাতে আনসার পেছনে ফেলেছেসেনাবাহিনীকে। বাংলাদেশ আনসারের ক্রীড়া বিভাগের সহকারি পরিচালক রায়হান ফকির তার দলের সেরা সাফল্যের কারণ সম্পর্কে বলেন,‘আমাদের দলকে আমরা সব সময় অনুশীলনে রাখি। আমাদের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মিজানুর রহমান শামীম স্যারের নির্দেশনায় ক্রীড়াবিদ ও কোচদেরও অনেক সুযোগ-সুবিধা দেই। এজন্য আমাদের সাফল্যের ধারাবাহিকতা বেশি।’
এদিকে প্রাণঘাতি করোনাভাইরাসের কারণে বঙ্গবন্ধু নবম বাংলাদেশ গেমসের সমাপনী অনুষ্ঠান সংক্ষিপ্ত করতে বাধ্য হয় আয়োজক বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন (বিওএ)। শনিবার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে দুই ঘন্টার সমাপনী অনুষ্ঠান দিয়েই পর্দা নেমেছে জাতির জনকের নামে বৃহৎ এই ক্রীড়া আসরের। সমাপনী অনুষ্ঠান দেখতে দর্শকদের জন্য বিকাল সাড়ে ৫টায় বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের গেট উন্মুক্ত করা হয়। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় পবিত্র কোরআন তেলোয়াতের মধ্য দিয়ে শুরু হয় অনুষ্ঠান। এরপর জাতীয় সংগীত বেজে ওঠে। জাতীয় সংগীতের পরপরই স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিওএ’র মহাসচিব সৈয়দ শাহেদ রেজা। অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি প্রধান অতিথি ছিলেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এমপি। বিশেষ অতিথি যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল স্বশরীরেই স্টেডিয়ামে উপস্থিত ছিলেন। সমাপনী অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি সভাপতিত্ব করেন বিওএ’র সভাপতি ও সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ।
প্রথম পর্বের এই অনুষ্ঠানের দৈর্ঘ্য ছিল ৩০ মিনিট। দ্বিতীয় পর্বের দৈর্ঘ্যও ছিল ৩০ মিনিট। সন্ধ্যা ৭টায় পনের মিনিটের একটি ভিজুয়াল প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে দশ দিনের গেমসের চিত্র তুলে ধরা হয়। সন্ধ্যা সোয়া ৭টায় সংক্ষিপ্ত লেজার শো শেষে ৭টা ৪৮ মিনিটে বিউগলে বেজে উঠে করুণ সুর। নিভে যায় স্টেডিয়ামে থাকা বঙ্গবন্ধু নবম বাংলাদেশ গেমসের মশাল।
গত ১ এপ্রিল সন্ধ্যা ৭টা ৪১ মিনিটে ক্রীড়াবান্ধব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করেছিলেন ১০ দিনের বঙ্গবন্ধু নবম বাংলাদেশ গেমসের। এবারের গেমসে দেশের ২৯ ভেন্যুতে খেলা হয়। অংশ নেন ৫৩০০ ক্রীড়াবিদ এবং ৩০০০ কোচ ও কর্মকর্তাসহ মোট ৮৩০০ জন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।