মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
কেন্দ্রীয় করোনা তহবিল থেকে কিভাবে যুক্তরাষ্ট্রের হিন্দু ডানপন্থী গোষ্ঠীগুলি হাজার হাজার ডলার পেয়েছে, সে বিষয়ে তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে ভারতীয় আমেরিকান কর্মী এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক নাগরিক অধিকার সংস্থা। এ বিষয়ে সংষাদমাধ্যম আল জাজিরার একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার পরে তারা এক বিবৃতিতে মার্কিনক্ষুদ্র ব্যবসা প্রশাসনের (এসবিএ) প্রতি এই আহ্বান জানায়।
চলতি সপ্তাহে ভারতে সংখ্যালঘু নির্যাতন ও হত্যা বন্ধ করতে নাগরিক অধিকার সংস্থার জারি করা এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তহবিল প্রাপ্ত হিন্দু গোষ্ঠীগুলির সাথে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (আরএসএস) যোগসূত্র রয়েছে যারা ‘হিন্দু আধিপত্যবাদী আদর্শে’ বিশ্বাসী। আরএসএস হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) ‘আদর্শিক অভিভাবক’। গত সপ্তাহে, আল জাজিরা জানিয়েছিল যে, ভারতের হিন্দু জাতীয়তাবাদী সংস্থার সাথে যুক্ত পাঁচটি হিন্দু ডানপন্থী গোষ্ঠী ৮ লাখ ৩৩ হাজার ডলারের বেশি অর্থ নগদ এবং ঋণ হিসাবে পেয়েছিল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি ফেডারেল এজেন্সি স্মল বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এসবিএ) প্রকাশিত তথ্য অনুসারে,
এসবিএ তার করোনভাইরাস সহায়তা, ত্রাণ এবং অর্থনৈতিক সুরক্ষার (সিএআরইএস) অংশ হিসাবে এই তহবিল দিয়েছে। জোটের বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে, আমেরিকা বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (ভিএইচপিএ), একাল বিদ্যালয় ফাউন্ডেশন, ইনফিনিটি ফাউন্ডেশন, সেবা ইন্টারন্যাশনাল এবং হিন্দু আমেরিকান ফাউন্ডেশন (এইএফএফ) - এই পাঁচটি গোষ্ঠী হ’ল হিন্দুত্বের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক ফ্রন্টের সংগঠন, যারা হিন্দু আধিপত্যবাদী আদর্শে বিশ্বাসী এবং তারা ভারতে খ্রিস্টান, মুসলমান, দলিত এবং অন্যান্য সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচারের পিছনে চালিকা শক্তি।
ভারতীয় আমেরিকান মুসলিম কাউন্সিলের (আইএএমসি) নির্বাহী পরিচালক রাশেদ আহমেদ বলেছিলেন, ‘মার্কিন করদাতাদের অর্থ এই ঘৃণ্য গোষ্ঠীগুলির পেছনে ব্যয় হচ্ছে, এটি একেবারেই অগ্রহণযোগ্য এবং যারা ন্যায়বিচার এবং সরকারের জবাবদিহিতায় বিশ্বাসী তাদের এই বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়া উচিত।’
জোটের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আরএসএস খ্রিস্টানবিরোধী ও মুসলিম বিরোধী প্রচারণা চালানো এবং সন্ত্রাসী হামলার উস্কানিতে সরাসরি জড়িত ছিল, ভারতের ধর্মনিরপেক্ষ অবস্থানকে বিকৃত করতে এবং এটিকে একটি হিন্দু স্বৈরাচারী রাষ্ট্রে পরিণত করার নিরলস অভিযানের অংশ হিসাবে যেখানে সংখ্যালঘুদেরকে উপরে নির্যাতন চালানো হয়েছে।’ বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘এর সদস্য ও সহযোগী সংগঠনগুলি ভারতে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে অসংখ্য গণহত্যা, জাতিগত নির্মূলকরণ, সন্ত্রাসবাদ, জোরপূর্বক ধর্মান্তরকরণ এবং সহিংসতাসহ বিভিন্ন প্রকারের অপরাধে জড়িত ছিল।’ সূত্র : আল-জাজিরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।