নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
ফুটবল মাঠে বল নিয়ে তাকে ছুটতে দেখা গেছে হরহামেশাই, গোল করে সতীর্থদের উল্লাসে মাতিয়েছে বহুবার। জাতীয় নারী ফুটবল দলের সাবেক তারকা খেলোয়াড় মাইনু মারমা তার নাম। বঙ্গবন্ধু নবম বাংলাদেশ গেমসে সেই মাইনু মারমা’কে দেখা গেল নতুন রূপে।
ফুটবলার নয়, গতকাল তিনি আবির্ভূত হলেন তায়কোয়ান্ডো খেলোয়াড় হিসেবে । জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের জিমন্যাশিয়ামে দেখা গেল বক্সিং গ্লাভস হাতে, মাথায় হেডগার্ড পড়া মাইনুকে। বাংলাদেশ গেমসে তায়কোয়ান্ডো খেললেন আনসারের হয়ে। জিতে নিলেন দু’টি স্বর্ণপদক। কাল সিনিয়র মহিলা (অনূর্ধ্ব- ৫৭ কেজি) ইভেন্টের ফাইনালে মাইনু দাপটের সঙ্গে খেলে ২৫-২ স্কোরে হারান চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার জান্নাতুল তামান্না তাবাসসুমকে। আগেরদিন মাইনু স্বর্ণ জিতেছিলেন সিনিয়র মহিলা দলীয় (২৪-২৯ বছর) ইভেন্টেও। শ্রাবণী বিশ্বাস এবং শাহানা খাতুনকে সঙ্গে নিয়ে ৬.৯০ স্কোর করেন তিনি। স্বর্ণজয়ের পর মাইনু বলেন, ‘খুবই খুশি লাগছে। দৃঢ় বিশ্বাস ছিল সাফল্য পাবো।’
২০০৬ সাল থেকেই তায়কোয়ান্ডো খেলছেন মাইনু। তখন থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত প্রতিটি জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপেই একটি করে স্বর্ণ জিতেছেন। এবারই প্রথম বাংলাদেশ গেমস খেললেন। হিসাব মিলিয়ে বললেন, ‘আমার স্বর্ণসংখ্যা ১৮টি।’
কোচ কোরবান আলীর মাধ্যমেই তায়কোয়ান্ডো খেলায় আসেন মাইনু। ১৫ বছর ধরে খেলাটি খেলে যাচ্ছেন তিনি। কিন্তু তার প্রিয় খেলা ফুটবল কি ছেড়ে দিলেন? এমন প্রশ্নের উত্তরে মাইনু বলেন,‘২০১৭ সালে সর্বশেষ খেলেছিলাম জাতীয় দলের হয়ে। তাই বলে ফুটবল খেলা এখনও ছাড়িনি। এবারের মহিলা লিগে সেন্ট্রাল মিডফিল্ডার হিসেবে খেলছি এফসি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার হয়ে।’ তিনি যোগ করেন, ‘যদি সুযোগ পাই, তাহলে তায়কোয়ান্ডোকা হিসেবে এসএ গেমস খেলতে চাই। ফুটবলে যা অনেক কঠিন। কেননা মহিলা ফুটবল এখন অনেক উন্নতি করেছে। যারা এখন খেলছে, তাদের ফর্ম-ফিটনেসের চেয়ে আমি অনেক পিছিয়ে। তবে চলতি মহিলা লিগে ভাল খেলে দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করবো।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।