পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
ঘূর্ণিঝড় ছেরোজায় ইন্দোনেশিয়া ও পূর্ব তিমুরে দেখা দিয়েছে ব্যাপক বন্যা ও ভূমিধস। এতে কমপক্ষে ৮৭ জন নিহত হয়েছেন। বাস্তুচ্যুত হয়েছে কয়েক হাজার মানুষ । সোমবার কর্মকর্তারা এ তথ্য জানিয়েছেন। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। এতে আরও বলা হয়, ঘূর্ণিঝড়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে দ্বীপরাষ্ট্র ইন্দোনেশিয়া ও পূর্ব তিমুরে। ইন্দোনেশিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশেই মারা গেছেন কমপক্ষে ৬৬ জন। নিখোঁজ রয়েছেন ৪০ জন মানুষ। দুর্যোগ বিষয়ক সংস্থা বিএনপিবি বলেছে, সপ্তাহান্তে দেশটিতে প্রচন্ড বাতাসের সাথে ভারী বৃষ্টিপাত হয়। এতে সেখানে দেখা দেয় ব্যাপক ভূমিধস। একই সাথে সৃষ্টি হয় বন্যা। এতে আরও বলা হয় কমপক্ষে ৪০০ মানুষকে উদ্ধার করা হয়েছে এবং এই ঘূর্ণিঝড়ের শিকার হয়েছেন কয়েক হাজার মানুষ। পূর্ব তিমুর দ্বীপের মাধ্যমে যুক্ত হয়েছে ইন্দোনেশিয়ার সাথে। সেখানে নিহত ভূমিধস, আকস্মিক বন্যা এবং গাছ পড়ে নিহত হয়েছেন কমপক্ষে ২১ জন। এর রাজধানী দিলিতে সিভিল প্রটেকশনের মেইন ডিরেক্টর ইসমাইল ডা কস্তা বাবো বলেছেন, কমপক্ষে ১৫০০ মানুষকে উদ্ধার করা হয়েছে। বেশকিছু সেতু ধসে পড়েছে। উপড়ে পড়েছে গাছ। এতে ইন্দোনেশিয়ার বিভিন্ন সড়ক অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে। তীব্র ঢেউয়ের কারণে ডুবে গেছে কমপক্ষে একটি জাহাজ। সেখানে উদ্ধার এবং অনুসন্ধান কাজ শুরু হয়েছে। খবরে বলা হয়, মুষলধারে বৃষ্টিপাতের ফলে বাঁধ ভেঙে ইন্দোনেশিয়ার ফ্লোরস দ্বীপ ও পূর্ব-তিমুরের কয়েক হাজার ঘরবাড়ি ডুবে যায়। অনেকে এখনো মাটির নিচে চাপা পড়ে আছে। ইন্দোনেশিয়ার জাতীয় দুর্যোগ প্রশমন সংস্থার মুখপাত্র রাদিত্য জাটি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত ৭০ জন মারা গেছেন, আহত হয়েছেন অনেকে। উদ্ধারকারীরা এখনও বেঁচে যাওয়া লোকদের সন্ধানের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে এবং মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে তারা জানিয়েছে। এর আগে গত জানুয়ারি মাসে ইন্দোনেশিয়ার জাভা প্রদেশে আকস্মিক বন্যায় ৪০ জনের মৃত্যু হয়। এছাড়া সেপ্টেম্বরেও ১১ জন মারা যান। আল-জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, ইস্টার সানডে উদযাপনের কয়েক ঘণ্টা আগে টানা বর্ষণে বন্যা দেখা দেয়। এতে ক্যাথলিক খ্রিস্টান অধ্যুষিত অঞ্চলটিতে বন্যা ও ভূমিধস তৈরি হয়। ঘরবাড়িতে কাদাপানি ঢুকে পড়ে, সেতু ও সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। রয়টার্স, আল-জাজিরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।