মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
বিশ্বের বৃহত্তম মুসলিম দেশ ইন্দোনেশিয়ার সরকার বিবাহবহির্ভূত যৌন সম্পর্ক নিয়ে আরও কঠোর হতে যাচ্ছে। এ নিয়ে দেশটির সংসদে নতুন একটি আইন পাস করা হবে। যেখানে এ অপরাধের শাস্তি হিসেবে থাকবে সর্বোচ্চ এক বছরের জেল খাটার বিধান। -বিবিসি, রয়টার্স
শুক্রবার (২ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। আইনটি তৈরির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট আইনপ্রণেতা বামবাং উরুয়ান্তো জানিয়েছেন, আগামী সপ্তাহেই আইনটি পাস হতে পারে। যা ইন্দোনেশিয়ার নাগরিক ছাড়াও ইন্দোনেশিয়ায় আসা বিদেশিদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে। তবে পুলিশ ও আইন-শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনী স্বপ্রণোদিত হয়ে বিবাহবহির্ভূত যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হওয়া কাউকে গ্রেপ্তার বা শাস্তি দেবে না। অভিযুক্তদের নিকটাত্মীয় যদি অভিযোগ দায়ের করেন তখনই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
যারা বিবাহিত কিন্তু অন্য নারী বা পুরুষের সঙ্গে যৌন সম্পর্কে জড়িত হন তাহলে সেক্ষেত্রে ওই নারী বা পুরুষের স্বামী/স্ত্রী পুলিশের কাছে অভিযোগ দিতে পারবেন। অন্যদিকে যারা বিবাহিত না, সেক্ষেত্রে তাদের বাবা অথবা মাকে পুলিশের কাছে অভিযোগ করার সুযোগ প্রধান করা হয়েছে এই খসড়া আইনে। বার্তাসংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, আইনটি নিয়ে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলো আশঙ্কা প্রকাশ করেছে। তাদের মতে এরকম আইন পাস হলে বিশ্বব্যাপী ইন্দোনেশিয়াকে অন্য চোখে দেখা হবে। যা পর্যটন খাতে প্রভাব ফেলবে।
এদিকে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক নিয়ে এ আইনটি প্রথম উত্থাপন করা হয় ২০১৯ সালে। তবে সে বছর এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে অনেকে বিক্ষোভ করেন। বিশেষ করে শিক্ষার্থীরা এর বিরুদ্ধে রাস্তায় নামেন। তাদের বিক্ষোভের কারণে রাজধানী জাকার্তা কার্যত অচল হয়ে গিয়েছিল। যদিও ওই খসড়া আইনে শুধুমাত্র বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের কথাই উল্লেখ ছিল না। জাতীয় পতাকা অবমাননা, প্রেসিডেন্টকে অবমাননা করলে শাস্তি এবং গর্ভপাত করলে চার বছরের জেলের বিধান রেখে এটি প্রস্তুত করা হয়েছিল।
বিক্ষোভের মুখে সেবার পিছিয়ে যায় ইন্দোনেশিয়ার সরকার। কিন্তু তিন বছর বাদে আবারও আইনটি নতুন করে সামনে নিয়ে এসেছে তারা। মুসলিম প্রধান ইন্দোনেশিয়ার আচেহ প্রদেশে অবশ্য আগে থেকেই এসব বিধান ছিল। সেখানে নারী-পুরুষের মেলামেশা, যৌন সম্পর্ক এবং মদ্যপান করলে বেত্রাঘাত করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।