মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারতের ছত্তীসগঢ়ে সুকমা-বিজাপুর সীমান্তে মাওবাদীদের সাথে সংঘর্ষে প্রাণ হারিয়েছেন কমপক্ষে ২২ জন সেনা সদস্য। আহত হয়েছেন আর়ও ৩১ জন। কার নেতৃত্বে এই হামলা চালিয়েছে মাওবাদীরা? গোয়েন্দা রিপোর্টে উঠে এসেছে সেই মাওবাদী নেতার নাম।
গোয়েন্দা রিপোর্টের ভিত্তিতে, মাওবাদী দমন অভিযানে নেমেছিলেন সেনা সদস্যরা। মাওবাদী নেতা হিডমা, যাকে ধরার চেষ্টা চলছে বহু দিন ধরে, সে ওই এলাকায় রয়েছে, এমনই খবর ছিল গোয়েন্দাদের কাছে। হিডমার উপস্থিতি ও মাওবাদীদের গতিবিধির খবর পেয়ে রোববার ভোরে অভিযানে নামে সিআরপিএফ, কোবরা, ছত্তীসগঢ় পুলিশের ডিস্ট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ড ও অন্য বাহিনীর ১৫০০ জওয়ান। কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপর হামলা চালাতে ওত পেতে বসেছিল হিডমার নেতৃত্বধীন মাওবাদীদের একটি দল। জাগারগুন্ডা-জোঙ্গাগুড়া-তারেমের একটি এলাকায় ৭৯০ জন জওয়ানের একটি দলকে লক্ষ্য করে হামলা চালায় মাওবাদীরা। প্রায় ৩ ঘণ্টা দু’পক্ষের মধ্যে চলে গুলির লড়াই। এতেই মৃত্যু হয়েছে সেনা সদস্যদের। সেই লড়়াইয়ে ২৫-৩০ জন মাওবাদীও নিহত হয়েছে বলে দাবি জওয়ানদের।
গোয়েন্দা সূত্রে খবর, পিপলস লিবারেশন গেরিলা আর্মির ১ নম্বর ব্যাটেলিয়নের প্রধান এই হিডমা। তার বয়স ৪০ বছর মতো। ছত্তীসগঢ়ের সুকমা জেলার জনজাতি অধ্যুষিত পুবর্তী গ্রামের বাসিন্দা সে। নয়ের দশকে সে যোগ দেয় মাওবাদীদের সঙ্গে। মাওবাদী ব্যাটেলিয়নের প্রধান হিসাবে মহিলা-সহ প্রায় ১৮০ থেকে ২৫০ জনের দলকে নেতৃত্ব দেয় সে। মাওবাদীদের দণ্ডকারণ্য বিশেষ আঞ্চলিক কমিটিরও সদস্য সে। গোয়েন্দাদের দাবি, সিপিআই (মাওবাদী) দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সবথেকে তরুণ সদস্য এই হিডমা। তার সম্বন্ধে খোঁজ দিতে পারলে ৪০ লাখ টাকার পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে ইতিমধ্যেই। তবে তার সাম্প্রতিক কালের কোনও ছবিই নাকি পাওয়া যায় না। ভীম মাণ্ডবী খুনের মামলায় তার বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)।
ছত্তীসগঢ়ের জঙ্গল অধ্যুষিত এলাকায় বেশ কয়েক বছর ধরেই চলছে মাওবাদী দমন অভিযান। কেন্দ্রীয় বাহিনীর তৎপরতায় ইতিমধ্যেই বহু এলাকা থেকে মাওবাদী সন্ত্রাস বন্ধ করা সম্ভব হয়েছে। জঙ্গলে জমি ফিরে পেতে অনেক সময় পাল্টা হামলা চালায় মাওবাদীরা। এই হামলার পোশাকি নাম ট্যাকটিক্যাল কাউন্টার অফেনসিভ ক্যাম্পেন (টিসিওসি)। সুকমা-বিজাপুর সীমান্তের ওই এলাকায় নিজেদের জমি ধরে রাখতে হিডমার নেতৃত্বে মাওবাদীদের বিশাল একটি দল ওৎ পেতে বসেছিল। জওয়ানরা অভিযানে এলে তাদের সঙ্গে শুরু হয় লডাই। সেই সংঘর্ষেই প্রাণ গিয়েছে সেনা সদস্যদের। এর আগেও বেশ কয়েকবার এ ধরনের ট্যাকটিক্যাল কাউন্টার অফেনসিভ ক্যাম্পেইন চালিয়েছিল মাওবাদীরা। সূত্র: এবিপি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।