মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
সউদী আরব ও ইসরাইলের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার যে কোনো সম্ভাব্য চুক্তিতে মধ্যপ্রাচ্য উপকৃত হবে, তবে তা নির্ভর করছে ইসরাইল-ফিলিস্তিনি শান্তি প্রক্রিয়ার অগ্রগতির ওপর। সউদী পররাষ্ট্রমন্ত্রী বৃহস্পতিবার একথা বলেছেন।
সিএনএনকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান বলেন, ‘এ অঞ্চলে ইসরাইলের সম্পর্ক স্বাভাবিক করার ফলে পুরো অঞ্চল ব্যাপকভাবে উপকৃত হবে। এটি অর্থনৈতিক, সামাজিক ও নিরাপত্তার দৃষ্টিকোণ থেকে অত্যন্ত সহায়ক হবে’।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী যোগ করেন, তবে, ফিলিস্তিনিদের ১৯৬৭ সালের সীমান্তের ভিত্তিতে একটি সার্বভৌম রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ইসরাইল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে শান্তির দিকে অগ্রগতি হলেই যে কোনো চুক্তি সম্ভব হবে।
প্রিন্স ফয়সাল বলেন, ‘আমি জানি না (চুক্তিটি) আসন্ন কিনা, এটি শান্তি প্রক্রিয়া নিয়ে অগ্রগতির ওপর অনেক বেশি নির্ভরশীল’। ‘অবশ্যই টেবিলে একটি স্বাভাবিকীকরণের চুক্তি রয়েছে - এটি ২০০২ সাল থেকে টেবিলে রয়েছে; একে আরব শান্তি পরিকল্পনা বলা হয়। তারও আগে আমাদের ফেজ উদ্যোগ ছিল, যা ১৯৮২ সালে সউদী আরব উপস্থাপন করেছিল এবং ফিলিস্তিনি ইস্যুটির সুষ্ঠু নিষ্পত্তির বিনিময়ে ইসরাইলের সাথে পূর্ণ ও সম্পূর্ণ স্বাভাবিক হওয়ার প্রত্যাশা রেখেছিল।
‘এখন যদি আমরা ১৯৬৭ সালের সীমান্তের ভিত্তিতে ফিলিস্তিনিদের মর্যাদা এবং তাদের অধিকারসহ একটি ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র দিতে সক্ষম হই তবে এই অঞ্চলে স্বাভাবিকীকরণ কেবলমাত্র তখনই সফল হতে পারে। যদি আমরা সেদিকে কোনো পথ খুঁজে পাই তবে আমি মনে করি, আমরা অনেক বেশি নিরাপদ অঞ্চল এবং আরো অনেক সমৃদ্ধ একটি দেশ দেখতে পাব যেখানে ইসরাইলসহ সকলেই এর সাফল্যে অবদান রাখতে পারে, তিনি বলেন।
ইসরাইলি মুসলমানদের মক্কায় ওমরাহ করার সম্ভাবনা সম্পর্কে জানতে চাইলে যুবরাজ ফয়সাল বলেন, এটি ইসরাইলি-ফিলিস্তিনি শান্তি প্রক্রিয়ার অগ্রগতির ওপরও নির্ভর করবে। তিনি বলেন, ‘আমরা তাতে একমত হইনি, তবে আমি যেমন বলেছি, ইসরাইল-ফিলিস্তিন ইস্যুতে যদি আমাদের অগ্রগতি হয়, তবে আমরা আশাবাদী, কেবলমাত্র মুসলমানদেরই নয়, ইসরাইলি নাগরিকদের সউদী আরবে স্বাগত জানাব।
সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং বাহরাইন গত সেপ্টেম্বরে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় ওয়াশিংটনে ইসরাইলের সাথে সম্পর্ক স্থাপনে আব্রাহাম অ্যাকর্ড নামে চুক্তি স্বাক্ষর করে। তারা ১৯৭৯ সালে মিসর এবং ১৯৯৪ সালে জর্ডানের পর ইসরাইলের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক করা প্রথম আরব দেশ। সুদান এবং মরোক্কো এর পরে তাদের অনুসরণ করে।
ফেব্রæয়ারিতে যুবরাজ ফয়সাল আরব লীগের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বলেন যে, সউদী আরব ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তারা ফিলিস্তিনি জনগণের পাশে রয়েছেন এবং সমাধানে পৌঁছানোর সকল প্রয়াসকে সমর্থন করছে।
মধ্যপ্রাচ্যের পাওয়ার হাউস সউদী আরব বারবার বলে আসছে যে, ফিলিস্তিনি জনগণের প্রকৃত অধিকার ও স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত তারা ইসরাইলের সাথে কোন ধরনের চুক্তিতে উপনীত হবে না। তবে ইরান সম্পর্কে পারস্পরিক উদ্বেগ ধীরে ধীরে ইসরাইল ও উপসাগরীয় দেশগুলোকে আরো ঘনিষ্ঠ করে তুলেছে এবং রিয়াদ বেশ কয়েক বছর ধরে ইহুদি রাষ্ট্রের সাথে নিরবে সম্পর্ক তৈরি করে চলেছে।
নভেম্বর মাসে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সউদী আরবে গোপন বৈঠক করেছেন বলে খবর প্রকাশিত হয়েছিল। সে সময় জল্পনা ছড়িয়ে পড়েছিল যে, উপসাগরের শীর্ষ ক্ষমতাধর দেশটির সাথে ইসরাইলের সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণ চুক্তি হতে পারে। তবে সউদী আরব এ ধরনের বৈঠকের কথা অস্বীকার করে। সূত্র : আরব নিউজ, এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।