নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
দেশে প্রাণঘাতি করোনাভাইরাসের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় সরকার সোমবার থেকে লকডাউন ঘোষণা করেছে। করোনা পরিস্থিতির উদ্বেগজনক অবনতি ঘটায় আগামী এক সপ্তাহের জন্য সারাদেশে এই লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। লকডাউনে জরুরি সেবা দেয়-এমন প্রতিষ্ঠানগুলোই শুধু খোলা থাকবে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। তবে ব্যতিক্রম শুধু চলমান বঙ্গবন্ধু নবম বাংলাদেশ গেমস। লকডাউন নিয়ে ভয় নেই বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের (বিওএ)! তারা লকডাউনের মাঝেও বাংলাদেশ গেমস চালাতে বদ্ধপরিকর।
দেশে গত ২৪ ঘন্টায় করোনাভাইরাসে নতুন আক্রান্ত হয়েছেন ৫৬৮৩, আর মারা গেছেন ৫৮ জন। অথচ এরই মাঝে চলছে দেশের সবচেয়ে বড় ক্রীড়া আসরের খেলা। যেখানে ৫৩০০ ক্রীড়াবিদ এবং কোচ ও কর্মকর্তা মিলিয়ে ৩০০০ জন সহ মোট ৮৩০০ জন অংশ নিচ্ছেন। করোনাকালে এতো মানুষের অংশগ্রহণে বাংলাদেশ গেমস আয়োজনকে অনেক ক্রীড়া সংগঠক আত্মঘাতী সিদ্ধান্তই মনে করছেন। তাদের প্রশ্ন-বাংলাদেশ গেমস কি করোনার ঊর্ধ্বে?
শনিবার সরকার লকডাউনের ঘোষণা দেওয়ার পরই দুপুর থেকে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে দেশের ক্রীড়াঙ্গনে। বিশেষ করে ক্রীড়াবিদরা বেশি আতঙ্কিত বাড়ি ফেরা নিয়ে। বেশিরভাগ ফেডারেশনের কর্তারা বিপাকে পড়েছে তাদের খেলোয়াড়দের বাড়িতে পাঠানো নিয়ে। আগামীকাল থেকে দেশব্যাপী লকডাউন চললে রাজধানী থেকে বিভিন্ন জেলায় কি করে খেলোয়াড়দের পাঠানো হবে-এর উত্তর কারো জানা নাই।
এমতাবস্থায় ক্রীড়াঙ্গনের সকলের মুখে একটাই প্রশ্ন, তাহলে চলতি বঙ্গবন্ধু নবম বাংলাদেশ গেমসের কী হবে? লকডাউনের মধ্যে সাত বিভাগের সাত জেলায় চলমান গেমসের ব্যাপারে কী সিদ্ধান্ত নেবে আয়োজক বিওএ?
এমন প্রশ্নের উত্তরে শনিবার বিওএ মহাসচিব সৈয়দ শাহেদ রেজা জানিয়েছেন, সরকারি নির্দেশনা না পাওয়া পর্যন্ত গেমস চলবে। তার বিশ্বাস গেমসটি শেষ করতে পারবেন তারা। তিনি বলেন, ‘এই মুহূর্তে সরকারের কাছ থেকে কোনো নির্দেশনা পাইনি আমরা। আমাদের যে প্রোগ্রাম আছে সেই অনুযায়ীই আমরা এগুচ্ছি। আর সরকারের নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত আমি কোনো মন্তব্য করতে পারবো না। তবে এর মধ্যে আমাদের প্রায় ৮০ ভাগ খেলা সস্পন্ন হয়ে যাবে। দলীয় খেলা কিছু থাকবে, ইনশাল্লাহ আমরা সেগুলোই চালিয়ে যাবো। ঢাকার বাইরের খেলাগুলোও চলছে। আর সরকার থেকে বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনে যদি নির্দেশনা আসে সেটা শুধু ঢাকার মধ্যেই প্রযোজ্য না, যেখানে যেখানে আমাদের ইভেন্ট আছে সব জায়গাতেই নির্দেশনা চলে যাবে। এবং যে নির্দেশনা আসবে সে মোতাবেকই সবকিছু হবে।’ শাহেদ রেজা যোগ করেন,‘সরকার অবশ্যই বাংলাদেশ গেমস নিয়ে অবগত আছে। আর সবাই জানে যে এখানে বাংলাদেশ গেমস হচ্ছে এবং আমরা আশাবাদী শেষ পর্যন্ত গেমসটি আমরা শেষ করতে পারবো। আপনারা জানেন প্রধানমন্ত্রী এটার উদ্বোধন করেছেন। এবং তার ধারাবাহিকতায় ইতোমধ্যে সব কিছু শুরু হয়ে গেছে।’
ঢাকার বাইরে থেকে যারা এসেছেন লকডাউনের মধ্যে তাদের যাওয়ার ব্যবস্থা বিওএ করবে বলে নিশ্চিত করেছেন শাহেদ রেজা। এ নিয়ে তার কথা,‘ঢাকার বাইরে থেকে যেসব খেলোয়াড় বা কর্মকর্তারা এসেছেন,তাদের যাওয়ার বন্দোবস্ত অবশ্যই বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন করবে। এটা নিয়ে চিন্তা করার কিছু নেই।’ মহাসচিবের সুরেই কথা বলেছেন গেমসের স্টিয়ারিং কমিটির চেয়ারম্যান ও বিওএ’র সহ-সভাপতি শেখ বশির আহমেদ মামুন। উপ-মহাসচিব আসাদুজ্জামান কোহিনুর বলেছেন, ‘লকডাউন ঘোষণা হলেও আমরা গেমস চালিয়ে যাবো। এখন দেখা যাক শেষ পর্যন্ত কি হয়?’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।