গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের উত্তর গেইটে গত ২৬ মার্চ হেফাজতে ইসলামের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলাকারীদের অবিলম্বে গ্রেফতার করতে হবে। মোদির আগমন বিরোধী আন্দোলনে শহীদদের যথাযথ ক্ষতিপূরণ এবং আহতদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে হবে।
বিভিন্ন মাদরাসায় তল্লাশির নামে অহেতুক হয়রানি বন্ধ করতে হবে। বি-বাড়িয়ায় মাদরাসায় হামলার মূল হোতা উবায়দুল মুক্তাদির চৌধুরীকে অবিলম্বে গ্রেফতার করতে হবে। আজ শুক্রবার বাদ জুমা বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের উত্তর গেইটে দলীয় নেতা-কর্মীদের হতাহতের ঘটনার প্রতিবাদে হেফাজতে ইসলাম ঢাকা মহানগরী আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন। নেতৃবৃন্দ বলেন, বিভিন্ন মাদরাসায় ও বাড়ি বাড়ি তল্লাশির নামে হয়রানি বন্ধ করতে হবে। তারা বলেন, ছাত্র লীগ ও হেলমেট লীগদের অবিলম্বে নিয়ন্ত্রণ করুন। অন্যথায় তাদের প্রতিরোধ করা হবে।
সংগঠনের মহানগরী সভাপতি মাওলানা জোনায়েদ আল হাবীবের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন হেফাজতে ইসলামের নায়েবে আমির আল্লামা আব্দুর রব ইউসুফী। মাওলানা ফয়সাল আহমদের পরিচালনায় এতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, সংগঠনের ঢাকা মহানগরী মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক, নায়েবে আমির ড. আহমদ আব্দুল কাদের, মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী, মাওলানা মো. জসিম উদ্দিন, অ্যাডভোকেট শাহেনুর পাশা, মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, মাওলানা সাখাওয়াত হোসাইন রাজি, মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী, প্রিন্সিপাল আবু তাহের খান, মাওলানা আতাউল্লাহ আমিন, মুফতি শরিফ উল্লাহ।
সমাবেশে সংগঠনটির নেতা মাওলানা মামুনুল হক বলেন, দেশব্যাপী হেফাজত ইসলামের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালিত হচ্ছে। কেউ যদি চিন্তা করেন, বন্দুকের নল দিয়ে হেফাজত ইসলামকে শান্ত করে ফেলবেন তাদের বলবো, আপনারা বোকার স্বর্গে বাস করছেন। আমি বিশ্ব মানবাধিকার কর্মীদের কাছে বলতে চাই, গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে বলতে চাই যথাযথ তদন্ত করুন। পুলিশি হেফাজতে থাকা আমার কর্মীদের ওপর হামলা করা হয়েছে। আমরা এসব হামলাকারীদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি জানাই। যারা আমাদের ওপর হামলা করেছে তারা কীভাবে এখনো প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে আমি তার জবাব চাই। তিনি বলেন, মাদরাসায় সংরক্ষিত ছুরিগুলো কোরবানির কাজে ব্যবহৃত হয়। এগুলো নিয়ে রাজনীতি করার কিছু নেই। তিনি বলেন, মিডিয়াগুলোর আরো দায়িত্বশীল হওয়া দরকার। যথাযথ ঘটনা তুলে ধরা তাদের দায়িত্ব। আর ভুলক্রমে সাংবাদিকদের ওপর হেফাজতের কিছু কর্মী হামলা করে থাকতে পারে। আমরা এজন্য কেন্দ্রীয়ভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।