মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
সেনাশাসিত মিয়ানমারে চলমান অভ্যুত্থানবিরোধী আন্দোলনে সেনা-পুলিশের গুলিতে অন্তত ৪৩ শিশু নিহত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে সেভ দ্য চিলড্রেন এই তথ্য জানিয়েছে। সংস্থাটির তথ্যমতে, সেনাবাহিনীর গুলি থেকে দেশটিতে সাত বছরের শিশুও রক্ষা পায়নি।
সংস্থাটি জানায়, দুঃস্বপ্নের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে মিয়ানমারবাসী। জান্তা আগ্রাসনের শিকার সর্বকনিষ্ঠ শিশুটির বয়স ৬ বছর। বিবৃতিতে জানানো হয়, মেয়েটির বাবা ছিলো সেনাদের মূল টার্গেট।
কিন্তু, সাঁড়াশি অভিযান চলাকালে বাবার কোলেই ছিলো খিন মিও চিত। যারকারণে, গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায় শিশুটি। দেশটিতে কর্মরত পর্যবেক্ষক সংস্থা- অঅচচ’র তথ্য অনুসারে, এখন পর্যন্ত সেনা বর্বরতায় প্রাণ গেছে ৫৩৬ জনের। বন্দি তিন হাজারের বেশি মানুষ।
গত ১ ফেব্রুয়ারি সেনা অভ্যুত্থানের পর থেকে মিয়ানমারে চলছে তুমুল বিক্ষোভ। দুই মাসের বিক্ষোভে সেনা-পুলিশের গুলিতে এখন পর্যন্ত নারী, শিশুসহ ৫৩৮ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে অধিকার সংস্থা অ্যাসিসটেন্স অ্যাসোসিয়েশন ফর পলিটিক্যাল প্রিজনার্স (এএপিপি)। এর মধ্যে গত শনিবার এক দিনেই নিহত হয়েছেন ১৪১ জন। আটক হয়েছেন তিন সহস্রাধিক।
বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, সেভ দ্য চিলড্রেন মিয়ানমারের বর্তমান পরিস্থিতিকে ‘দুঃস্বপ্ন’ বলে উল্লেখ করেছে। সংস্থাটি বলছে, জান্তা সেনা-পুলিশের গুলি থেকে শিশুরাও রক্ষা পাচ্ছে না। অন্তত ৪৩ শিশুকে হত্যা করা হয়েছে।
বিবৃতিতে সেভ দ্য চিলড্রেন সতর্ক করে জানিয়েছে, রক্তপাতের এসব ঘটনা মিয়ানমারের শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্যের বিকাশে দীর্ঘ মেয়াদে সমস্যা তৈরি করতে পারে। শিশুরা হিংস্রতা ও ভয়াবহতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এর ফলে তারা ভয় ও উদ্বেগে ভুগতে পারে। মিয়ানমার এখন আর শিশুদের জন্য নিরাপদ নয়।
এদিকে ‘মিয়ানমারে রক্তগঙ্গা আসন্ন’ মন্তব্য করে তা এড়াতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদকে পদক্ষেপ নিতে বলেছেন সংস্থাটির বিশেষ দূত ক্রিস্টিন শানার বার্গেনার। গত বুধবার নিরাপত্তা পরিষদের এক জরুরি বৈঠকে তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেন, গত ১ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারের ক্ষমতা দখলকারী সেনাবাহিনী দেশ পরিচালনায় সক্ষম নয়। দেশটির অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি কেবল খারাপের দিকেই যাবে। অভ্যুত্থানবিরোধী বিক্ষোভকারীদের ওপর সেনাবাহিনীর দমন-পীড়ন তীব্র হওয়ায় মিয়ানমারে একটি রক্তগঙ্গা আসন্ন হয়ে উঠেছে। সূত্র : বিবিসি
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।