মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
মিয়ানমারে বিক্ষোভকারীদের ওপর নিপীড়ন না থামালে সেনাবাহিনীর ওপর পাল্টা হামলা চালানোর হুমকি দিয়েছে দেশটির তিনটি বিদ্রোহী গোষ্ঠী। মঙ্গলবার এক যৌথ বিবৃতিতে এই হুমকি দিয়েছে তারা। গত শনিবার এক দিনে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে শতাধিক বিক্ষোভকারী প্রাণ হারানোর পর এই হুমকি এল। মিয়ানমারে গত ১ ফেব্রæয়ারি রক্তপাতহীন অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করে সেনাবাহিনী। গ্রেপ্তার করা হয় অং সান সু চিসহ তার দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) শীর্ষ নেতাদের। সেনাশাসনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত ৫১০ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে স্থানীয় পর্যবেক্ষক প্রতিষ্ঠান দ্য অ্যাসিস্ট্যান্স অ্যাসোসিয়েশন ফর পলিটিক্যাল প্রিজনার্স (এএপিপি)। তবে প্রকৃত নিহত মানুষের সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে। গত শনিবার সামরিক বাহিনীর গুলিতে ১১৪ জন নিহত হন। এক দিনে এটাই সর্বোচ্চ প্রাণহানির ঘটনা। ওই নৃশংসতার প্রতিবাদে বিশ্বজুড়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে। নিরস্ত্র বেসামরিক নাগরিকদের ওপর নৃশংসতার প্রতিবাদে মিয়ানমারের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি স্থগিত করেছে যুক্তরাষ্ট্র। জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস জান্তা সরকারের ওপর চাপ দিতে আন্তর্জাতিক স¤প্রদায়ের প্রতি আহবান জানিয়েছেন। সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে গুতেরেস বলেছেন, মানুষের প্রতি এত বেশি সহিংসতার ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না। অনেক মানুষ সহিংসতায় প্রাণ হারাচ্ছেন। তিনি বলেন, মিয়ানমারের ওপর চাপ প্রয়োগে আন্তর্জাতিক স¤প্রদায়কে আরও বেশি ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে যুক্তরাজ্য জরুরি বৈঠকের আহবান জানিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাজ্য সেনা অভ্যুত্থানের ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছে। আন্তর্জাতিক স¤প্রদায়ের আহবানর পরও বিক্ষোভকারীদের ওপর নিপীড়ন অব্যাহত রয়েছে। গত সোমবারও নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত পাঁচ বিক্ষোভকারী। এরপরও জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ অব্যাহত। আন্তর্জাতিক চাপের মধ্যে জান্তা সরকারের ওপর নতুন করে চাপ বাড়াল মিয়ানমারেরক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর তিন সশস্ত্র গোষ্ঠী। গতকাল যৌথ বিবৃতিতে তারা বলেছে, সেনাবাহিনী তাদের সহিংসতা না থামালে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে যুক্ত হয়ে জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করবে তারা। ওই তিন গোষ্ঠী হচ্ছে তা’য়াং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি, মিয়ানমার ন্যাশনালিটিস ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স আর্মি এবং আরাকান আর্মি। মানবাধিকার সংগঠন ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন ফর হিউম্যান রাইটসের (এফআইডিএইচ) কর্মকর্তা ডেবি স্টোথার্ড সতর্ক করেছেন, এই রকম গোষ্ঠীগুলো যদি অস্ত্র হাতে তুলে নেয়, তাহলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে। এমনকি দেশটিতে গৃহযুদ্ধও শুরু হতে পারে। এএফপি, এসএএম।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।