Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ২২ কার্তিক ১৪৩১, ০৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মিয়ানমার থেকে কর্মী সরাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৩১ মার্চ, ২০২১, ৪:৫৭ পিএম

মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানবিরোধী আন্দোলনে পরিস্থিতি ক্রমান্বয়ে চরম অবনতির কারণে মিয়ানমারে কর্মরত মার্কিন সরকারি কর্মচারীদের মধ্যে যারা ‘অপরিহার্য নন’ তাদের পরিবারের সদস্যসহ দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশটি ত্যাগের নির্দেশ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এর আগে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি অপ্রয়োজনীয় সরকারি কর্মকর্তাদের দেশে ফিরে যাওয়ার অনুমোদন দিয়েছিল বাইডেন প্রশাসন। তখন গণতান্ত্রিক সরকারের দাবিতে বিক্ষোভে সামরিক সহিংসতার প্রাথমিক পর্যায় ছিল। কিন্তু মঙ্গলবার নতুন করে আরও বড় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

তুর্কি বার্তা সংস্থা আনাদুলু জানিয়েছে, মিয়ানমারে রক্তক্ষয়ী সহিংসতা বেড়ে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে কর্মকর্তাদের দেশে ফিরে যেতে মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্র নতুন আদেশ দিয়েছে।
গত ১ ফেব্রুয়ারি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে মিয়ানমারের ক্ষমতা দখল করে দেশটির সেনাবাহিনী। অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে তার পর থেকেই সেখানে টানা বিক্ষোভ চলছে। বিক্ষোভ দমনে জান্তা বাহিনী বলপ্রয়োগ করছে। বিক্ষোভ করতে গিয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে এখন পর্যন্ত অন্তত ৫২১ বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছেন।
চলতি সপ্তাহের শনিবার দেশটি একদিনে ১৪১ জনের মৃত্যুও দেখেছে বলে জানিয়েছে মিয়ানমারের ঘটনাবলী পর্যবেক্ষণকারী গোষ্ঠী অ্যাস্টিস্ট্যান্স অ্যাসোসিয়েশন ফর পলিটিকাল প্রিজনার্স (এএপিপি)।

বিবিসি জানায়, মনিপুর ছাড়াও মিয়ানমারের কারেন রাজ্য থেকে তিন হাজারের বেশি কারেন শরণার্থী প্রতিবেশী থাইল্যান্ডে আশ্রয় নিয়েছে। থাই সেনারা তাদের সীমান্তের কাছেই আটকে রেখেছে।

ভারত ও মিয়ানমারের মধ্যে একটি দ্বিপক্ষীয় চুক্তি অনুযায়ী দুই দেশের নাগরিকরা সীমান্ত পেরিয়ে অন্য দেশে প্রবেশ করতে পারবেন এবং সর্বোচ্চ ১৪ দিন বৈধভাবে বসবাস করতে পারবেন। কিন্তু করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে গত বছর মার্চ থেকে সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়া হয়।
মিয়ানমার থেকে ঠিক কতজন শরণার্থী হিসেবে ভারতে প্রবেশ করেছেন তার সঠিক সংখ্যা বলা মুশকিল। তবে কেউ কেউ ওই সংখ্যা প্রায় ৭০০ বলে জানিয়েছেন।
মঙ্গলবারও দেশটিতে আট বিক্ষোভকারীর মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে এএপিপি। এদিন মিয়ানমারের বেশ কয়েকটি শহরে হাজার হাজার বিক্ষোভকারী মিছিল করেছে বলে স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মঙ্গলবারের বিক্ষোভের ছবিও এসেছে।

এ দিন রাতে মিয়ানমারের বিভিন্ন শহরে কারফিউ উপেক্ষা করে রাতভর মোমবাতি জ্বালিয়ে অভ্যুত্থানবিরোধী প্রতিবাদ করেছে আন্দোলনকারীরা। বুধবার ভোরের দিকে অন্তত একটি এলাকায় জান্তাবিরোধী মিছিল হয়েছে বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। সূত্র : রয়টার্স।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: যুক্তরাষ্ট্র


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ