নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
অবশেষে শেষ হতে চলেছে সিটিজেনদের সঙ্গে সার্জিও অ্যাগুয়েরোর সম্পর্ক। চলতি মৌসুম শেষেই ম্যানচেস্টার সিটির সঙ্গে চুক্তি শেষ হচ্ছে আগুয়েরোর। তবে, এ মুহূর্তে আর্জেন্টাইনের সঙ্গে আর চুক্তি বাড়াতে চাচ্ছে না সিটি কর্তৃপক্ষ। তাই, এ মৌসুমের পরই অন্য কোথাও ঠিকানা খুঁজতে হবে আকাশী নীলদের হয়ে সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ড করা এ ফরোয়ার্ডকে।
ক্লাব ফুটবলের কুলীন জার্সিগুলোর সমাহারে, এখনো সিটিজেনদের জায়গা দিতে রাজি নন ফুটবল প্রেমীরা। ক্লাব শোকেসে যতই ট্রফি উঠুক না কেন, এখনো ঐতিহ্যের চেয়ে অর্থের ভিত্তিটাই অনেক বেশি সম্মান পায় এখানে। আর এটাই যত নষ্টের গোড়া বলে মনে করেন ফুটবল বোদ্ধারা। কিন্তু, তাতে বয়েই গেছে ম্যানচেস্টার সিটির। কিংবা তার ফুটবলারদের।
অর্থের ঝনঝনানিতে নানা দেশের ফুটবল স্টারদের নিয়ে, অনেক আগেই প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা বাগিয়ে নিয়েছিলো সিটিজেনরা। কিন্তু, সেখানে সবসময়ই আলাদা করে জায়গা করেছিলেন একজন আর্জেন্টাইন। সার্জিও অ্যাগুয়েরো। বেশিদিন আগের কথা তো নয়, ২০১১ এর এক সন্ধ্যায় ম্যানচেস্টার শহরে পা পড়েছিলো তার। এরপর মানচিনির হাত থেকে জার্সি নিয়ে নেমেছিলেন সোয়ানসে সিটির বিপক্ষে। ত্রিশ মিনিটের সেই ক্যামিওতে দুই গোল করার পাশাপাশি করিয়েও ছিলেন একটা।
আর ২০১২ সালে কিউপিআরের বিপক্ষে যা করেছিলেন তা তো ক্লাব ইতিহাসের অংশ। ৯৩ মিনিটে দলের সবচেয়ে প্রয়োজনের মুহূর্তে নিজের মুন্সিয়ানা দেখিয়েছিলেন ম্যারাডোনার দেশের ফরোয়ার্ড। আনন্দে ফেটে পড়েছিলো অর্ধেক ম্যানচেস্টার শহর।
এরপর সময় যত গড়িয়েছে, সিটিজেনদের আপনজন হয়ে উঠেছিলেন 'কুন'। দিনের পর দিন গোল করেছেন, আকাশী নীলদের হয়ে। ফলাফল, একদিন দেখা গেলো সমস্ত রেকর্ড ভূলন্ঠিত হয়েছে অ্যাগুয়েরোর পায়ে। এরিক ব্রুকের ৭৮ বছরের রেকর্ড ভেঙে অ্যাগুয়েরো হন ক্লাবের সেরা গোলদাতা। এখন পর্যন্ত যেটা দাঁড়িয়েছে ৩৮৪ ম্যাচে ২৫৭টা।
বিদেশী হিসেবে প্রিমিয়ার লিগের সর্বোচ্চ গোলদাতার জায়গাটাও দখল করে নেন তিনি। অ্যালেন শিয়েরারকে টপকে সবচেয়ে বেশি হ্যাটট্রিকের মালিকও এখন অ্যাগুয়েরো।
তবে, সব কিছুরই শেষ আছে। এটাই নির্মম সত্য। তাই তো, অ্যাগুয়েরোর সঙ্গেও থামতে যাচ্ছে ম্যানচেস্টার সিটির পথচলা। চলতি মৌসুমে এভারটনের বিপক্ষে শেষ ম্যাচের পরই ক্লাবকে বিদায় বলে দেবেন কুন। তবে, ক্লাব কিংবদন্তিকে এতো সহজে ভুলে যাবে না সিটিজেনরা। কারণ, ক্লাব আঙিনায় আবক্ষ একটি মূর্তি স্থাপনের ঘোষণা দিয়েছেন খোদ চেয়ারম্যান খালদুন আল মোবারক।
একজনের শেষ মানেই, এখানে শুরু হবে অন্য কারো অধ্যায়। গুঞ্জন শুরু হয়ে গেছে সেটা নিয়েও। ইউরোপিয় গণমাধ্যমে খবর, বাবা আলফইঞ্জ হ্যালান্ডকে অনুসরণ করে সিটিতে আসতে যাচ্ছেন আরলিং হ্যালান্ড।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।