নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
ত্রিদেশীয় টুর্নামেন্টে স্বাগতিক নেপালই সেরা। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে লাল-সবুজের ফুটবলাররা দেশকে চ্যাম্পিয়ন ট্রফি উপহার দিতে পারেননি। অথচ টুর্নামেন্ট খেলতে নেপাল যাওয়ার আগে ফুটবলাররা বলেছিলেন স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি ও বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে তারা দেশকে একটি ট্রফি দিতে চান। জামাল ভূঁইয়াদের উজ্জীবিত করতে ফাইনালের আগেই বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সভাপতি কাজী মো. সালাউদ্দিন ঘোষণা দিয়েছিলেন, শিরোপা জিততে পারলে জাতীয় দলকে ২৫ হাজার মার্কিন ডলার পুরস্কার দেয়া হবে। কিন্তু না কিছুতেই কিছু হলো না। বিদেশ থেকে ট্রফি জিতে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের যে প্রত্যাশা ছিল সাদ উদ্দিন, আনিসুর রহমান জিকোদের তা ভেঙ্গে গুঁড়িয়ে দিয়েছে নেপাল।
সোমবার কাঠমান্ডুর দশরথ রঙ্গশালা স্টেডিয়ামে ত্রিদেশীয় টুর্নামেন্টের ফাইনালে নেপাল ২-১ গোলে বাংলাদেশকে হারিয়ে শিরোপা ঘরে তোলে। বিজয়ী দলের হয়ে সানজোগ রাই ও বিশাল রাই একটি করে গোল করেন। বাংলাদেশের পক্ষে এক গোল শোধ দেন মাহবুবুর রহমান সুফিল। ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল উপহার দেয় নেপাল। প্রথমার্ধে তারা অন্তত চারটি গোলের সুযোগ সৃষ্টি করে। যার মধ্যে দু'টিতে সফল হয় নেপালীরা। ধারাবাহিক আক্রমণের মুখে ম্যাচের ১৮ মিনিটে প্রথম গোল করে নেপাল। এসময় কর্ণার থেকে জটলায় বল পেয়ে দারুণ শটে তা জালে পাঠান সানজোগ রাই (১-০)। অথচ গোল হওয়ার আগে নেপালের একটি আক্রমণ কর্ণারের বিনিময়ে রক্ষা করেছিলেন গোলরক্ষক জিকো। তবে ওই কর্ণার থেকেই গোল আদায় করে নেয় স্বাগতিক দল। জটলা থেকে সানজোগের শট বাংলাদেশের একাধিক খেলোয়াড়ের পায়ের ফাঁক দিয়ে গোল লাইন অতিক্রম করেন।
পিছিয়ে পড়ে ম্যাচে ফিরতে চেষ্টা করেও পারেনি লাল-সবুজরা। উল্টো ডিফেন্ডার রিয়াদুল হাসানের ব্যর্থতায় দ্বিতীয় গোলের দেখা পায় নেপাল। ম্যাচের ৪২ মিনিটে স্বাগতিকরা পাল্টা আক্রমণে গেলে ডি-বক্সের বাইরে বিশাল রাইকে ট্যাকেল দিতে ব্যর্থ হন রিয়াদুল। তাকে ফাকি দিয়ে বিশাল বল নিয়ে বক্সে ঢুকে কোনাকুনি শটে গোল করে ব্যবধান বাড়ান (২-০)। এই ব্যবধানে এগিয়ে থেকে বিরতিতে গেলেও দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নেমে আক্রমণের ধার বাড়িযে দেয় নেপালীরা। বিরতির পর তারা একাধিক গোলের সুযোগ সৃষ্টি করলেও ব্যবধান আর বাড়াতে পারেনি। তবে ম্যাচের ধারার বিপরীতে ব্যবধান কমায় বাংলাদেশ। ৮৩ মিনিটে বদলি ফরোয়ার্ড মাহবুবুর রহমান সুফিল এক গোল শোধ দেন। জামাল ভূঁইয়ার কর্ণার থেকে চমৎকার হেডে গোল করেন সুফিল (১-২)। বাকি সময় আর কোনো গোল না হওয়ায় শেষ পর্যন্ত ২-১ ব্যবধানের জয় পেয়ে উল্লাসে মাতে নেপাল। আর হারের গøানি নিয়েই মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ। খেলায় ম্যাচসেরার পুরস্কার পান সানজোগ রাই। ফাইনাল শেষে চ্যাম্পিয়ন নেপাল ও রানার্সআপ বাংলাদেশ দলের খেলোয়াড়দের হাতে ট্রফি তুলে দেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।