মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
মোদি সরকারের আনা বিতর্কিত ৩টি কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে কৃষক এবং ক্ষেতমজুর সংগঠনগুলো শুক্রবার ১২ ঘন্টা বনধ বা ঘর্মঘট পালন করেছে। কর্মসূচির অংশ হিসাবে তারা ৩২টি জায়গা অবরোধ করেন। এর জেরে সকালের দিকে দিল্লি থেকে চন্ডীগড়, অমৃতসর, কালকাগামী বেশ কয়েকটি ট্রেন বাতিল করা হয়।
উত্তর রেলে মুখপাত্র দীপক কুমার জানান, শুক্রবার সকাল ৯টা নাগাদ ৩২টি জায়গায় রেললাইনের উপর বসে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন প্রতিবাদী কৃষকরা। এর জেরে বাতিল করা হয়েছে ৩১টি ট্রেন। শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে ঘর্মঘট শুরু হওয়ার পর দিল্লি, পাঞ্জাব এবং হরিয়ানার বিভিন্ন রাস্তা, জাতীয় সড়ক এবং ট্রেন অবরোধ শুরু করেন আন্দোলনকারীরা। এই বন্ধের প্রভাব পড়েছে অন্ধপ্রদেশেও।
কৃষক আন্দোলনের ৪ মাস পূর্তির দিনে ঘর্মঘটের ডাক দিয়েছে সংযুক্ত কিসান মোর্চা (এসকেএম)। এই সংগঠনের ছাতায় তলায় একত্র হয়ে দেশের প্রায় ৪২টি কৃষক এবং ক্ষেতমজুর সংগঠন গত ২৬ নভেম্বর থেকে দিল্লির সিংঘু, টিকরি এবং গাজিপুর সীমানায় আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। ৬ ডিসেম্বরের পর শুক্রবার ফের ঘর্মঘট পালন করছে তারা। এসকেএম নেতৃত্ব আগেই জানিয়েছিলেন, শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে শুরু হয়ে ঘর্মঘট চলবে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। বিতর্কিত কৃষি আইনগুলো প্রত্যাহারের পাশাপাশি ফসলে ন্যূনতম সহায়ক মূল্য (এমএসপি) নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে আইনি প্রতিশ্রুতিও দাবি করেছেন আন্দোলনকারীরা। কৃষক সংগঠনগুলির পাশাপাশি শুক্রবারের ঘর্মঘটে সমর্থন জানিয়েছে অকালি দল, কংগ্রেস এবং বামেরা।
শুক্রবার ঘর্মঘট কর্মসূচি শুরু হওয়ার পর থেকেই দিল্লি-গাজিপুর সীমানায় রাস্তায় অবরোধে বসেন কৃষকেরা। পঞ্জাবের অম্বালা, জিটি রোডেও একই ছবি দেখা যায়। ওই রাজ্যের একাধিক জায়গায় ধর্মঘটে শামিল হন কৃষক নেতা থেকে শুরু করে মহিলারা। শাহপুরের রেল লাইনেও বসে পড়ে ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেন আন্দোলনকারীদের একাংশ। ওয়াগায় ইন্দো-পাক সীমান্তেও জড়ো হন অসংখ্য আন্দোলনকারী। ওই জায়গায় জাতীয় সড়কের উপরেই বন্ধের সমর্থনে পথসভা করেন কৃষক নেতারা। পাঞ্জাবের বারনালা জেলায় বনধে শামিল হয়ে ট্রেন অবরোধ করেন মহিলারা। মানসা জেলায় ধর্নায় বসেন অসংখ্য নারী।
কিসান মজদুর সংঘর্ষ কমিটির সদস্যরা ‘রেল রোকো’ কর্মসূচি পালন করেন। অমৃতসরে দিল্লি-অমৃতসর রেল লাইনে বসে পড়েন তারা। মোহালিতে বিমানবন্দরে যাওয়ার রাস্তাতেও প্রতিবাদ করেছেন কৃষকেরা। শুক্রবারের এই ঘর্মঘটে সমর্থন দিয়েছে পাঞ্জাব বার অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরাও। রাজ্যের ৯ নম্বর জাতীয় সড়কে চাক্কা জ্যামের কর্মসূচি পালন করেছেন অকালি দলের কর্মী-সমর্থকেরা। সূত্র: হিন্দুস্থান টাইমস।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।