বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বগুড়া মোটর মালিক গ্রুপের কার্যালয়ে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় নূরে-এ আলম অর্ক এবং সেতু খন্দকার নামে দুই যুবলীগ নেতাকে বৃহস্পতিবার কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। নূরে আলম অর্ক যুবলীগ বগুড়া জেলার প্রস্তাবিত কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং জেলা আওয়ামীগের যুগ্ম সম্পাদক মঞ্জুরুল আলম মোহনের ছেলে এবং সেতু খন্দকার একই সংগঠনের পৌর কমিটির সহ-সভাপতি।
আদালত সূত্র জানায়, বগুড়া মোটর মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলামের দায়ের করা মামলার ওই দুই আসামী বগুড়ার অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির হয়ে জামিন প্রার্থনা করেছিলেন। কিন্তু বিচারক আহম্মেদ শাহরিয়ার তারিক তা নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
বগুড়া শহরের চারমাথা এলাকায় মোটর মালিক গ্রুপের কার্যালয়ের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে চলতি বছরের ৯ ফেব্রুয়ারি সরকারি দলের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এক পক্ষের নেতৃত্ব দেন বগুড়া সদর উপজেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি মোটর মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক দাবিদার আমিনুল ইসলাম এবং অপর পক্ষে ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও মোটর মালিক গ্রুপের সাবেক আহবায়ক মঞ্জুরুল আলম মোহন। সংঘর্ষ চলাকালে গোয়েন্দা পুলিশের এক কনস্টেবলকে ছুরিকাঘাত এবং সাংবাদিকসহ অন্তত ১০জনকে মারপিট করা হয়। এছাড়া আমিনুল ইসলামের নিয়ন্ত্রণাধীন মোটর মালিক গ্রুপের কার্যালয় ভাংচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ এবং মঞ্জুরুল আলম মোহনের মালিকানাধীন যানবাহন ও পেট্রোল পাম্প ভাংচুর করা হয়।
ওই ঘটনায় যুবলীগ নেতা আমিনুল ইসলাম এবং আওয়ামী লীগ মঞ্জুরুল আলম মোহনের ছোট ভাই মশিউল আলম দীপন পাল্টাপাল্টি মামলা করেন। এছাড়া পুলিশের পক্ষ থেকেও আর একটি মামলা করা হয়। এরই মধ্যে প্রতিপক্ষের মামলায় মোটর মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক যুবলীগ নেতা আমিনুল ইসলাম বর্তমানে কারাগারে আটক রয়েছেন। অপরদিকে মোটর মালিক গ্রুপের সাবেক আহবায়ক মঞ্জুরুল আলম মোহন উচ্চ আদালত থেকে জামিনে রয়েছেন।
বগুড়ার অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দায়িত্বরত পুলিশের উপ-পরিদর্শক প্রদ্যুৎ কর বিষয় গুলো নিশ্চিত করে জানান, আমিনুল ইসলামের দায়ের করা মামলার দুই আসামী নূরে আলম অর্ক এবং সেতু খন্দকার বৃহস্পতিবার সকালে আদালতে হাজির হয়ে জামিন প্রার্থনা করেন। কিন্তু বিচারক শুনানী শেষে তাদের আবেদন নামঞ্জুর করেন। পরে তাদেরকে কারাগারে পাঠানো হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।