গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের প্রতিবাদে রাজধানীতে ব্যাপক বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে। শাপলা চত্বর এলাকায় যুব অধিকার পরিষদের ব্যানারে আয়োজিত মিছিলে যুব, ছাত্র অধিকার ও আরো কয়েকটি সংগঠনের কর্মীরা অংশ নেন।
বিক্ষোভে মতিঝিল শাপলাচত্বরে পুলিশের ছোড়া টিয়ারগ্যাসে আহত হয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর। তবে তিনি বর্তমানে নিরাপদেই আছেন বলে জানিয়েছে ছাত্র অধিকার পরিষদের একাধিক কেন্দ্রীয় নেতা।
বৃহস্পতিবার (২৫ মার্চ) দুপুরে মোদির আগমনের বিরোধিতা করে রাজধানীর মুক্তাঙ্গন এলাকা থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে ছাত্র ও যুব অধিকার পরিষদ। মিছিলটি মতিঝিল এলাকায় পৌঁছালে পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ বাঁধে। এসময় পুলিশ ফাঁকা গুলি, টিয়ারগ্যাস, রাবার বুলেট ছাড়ে। টিয়ারগ্যাসে আহত হন নুর।
এ ঘটনার পর মতিঝিল এলাকা থেকে পুলিশ শিশুবক্তা রফিকুল ইসলাম মাদানিসহ ১১ জনকে আটক করে কাভার্ডভ্যানে করে নিয়ে যায়। তবে রফিকুল মাদানিকে আটকের ব্যাপারে পুলিশের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো মন্তব্য করা হয়নি। বিক্ষোভে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতা তানজিদ এবং সুবর্ণসহ প্রায় ১০ জন আহত হয়েছেন।
বিক্ষোভের পর মতিঝিলজুড়ে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার জেরে শাপলাচত্বর হয়ে দৈনিক বাংলা-গুলিস্তান রাস্তাটি বন্ধ হয়ে যায়। তবে বিকল্প রাস্তা হিসেবে শাপলাচত্বর থেকে ফকিরাপুল হয়ে গাড়ি চলাচল করছে।
এ বিষয়ে মতিঝিল জোনের এডিসি নুরুল আমিন বলেন, বিক্ষোভকারীরা মিছিল নিয়ে শাপলা চত্বর এলে পুলিশ বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু তারা পুলিশের ওপর ‘হামলা’ চালায়। এতে বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। এর মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর।
পুলিশের এ কর্মকর্তা আরো বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি আমাদের নিয়ন্ত্রণে আছে। এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।