পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
ইসরাইলি কারাগারে যাওয়া প্রথম ফিলিস্তিনি বন্দি মাহমুদ বাকির হিজাজি সোমবার মারা গেছেন। তার বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর। তার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে যৌথ বিবৃতি দিয়েছে ফিলিস্তিনি প্রিজনার্স অ্যাফেয়ার্স ও ফিলিস্তিনি প্রিজনার্স সোসাইটি। বার্তা সংস্থা আনাদোলু এমন খবর দিয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়, হিজাজি ছিলেন আত্মত্যাগের প্রতীক। পরবর্তী প্রজন্মের জন্য জাতীয় ঐতিহ্য ও গুরুত্বপ‚র্ণ লড়াই রেখে গেছেন তিনি। তার মৃত্যুতে শোক জানিয়ে বাণী দিয়েছেন ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস। মঙ্গলবার সামরিক মর্যাদায় হিজাজিকে দাফন করার কথা রয়েছে। ১৯৩৬ সালে জেরুজালেমে জন্মগ্রহণ করেছেন তিনি। ১৯৬৫ সালের জানুয়ারিতে বাইত জিবরিন শহরে এক অভিযানে ইসরাইলি বাহিনীর হাতে তিনি আটক হন। পরবর্তীতে তাকে মৃত্যুদÐের সাজা দেওয়া হলেও আন্তর্জাতিক স¤প্রদায়ের বাধার মুখে তা কার্যকর করা হয়নি। অপর এক খবরে বলা হয়, ইসরাইলে বাস করা ফিলিস্তিনি আরব বাসিন্দাদের বিরুদ্ধে সংগঠিত অপরাধে রাষ্ট্রীয় সংযোগ থাকার অভিযোগ করেছেন ইসরাইলি আরব প্রতিরোধ আন্দোলনের নেতা রাইদ সালাহ। রোববার কাতারভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা টেলিভিশনে প্রচারিত এক প্রামাণ্যচিত্রে সাক্ষাতকারে এই অভিযোগ করেন ইসরাইলি কারাগারে আটক এই নেতা। সাক্ষাতকারে তিনি অভিযোগ করেন, ইসরাইলে বাস করা আরব স¤প্রদায়ের বিরুদ্ধে পরিকল্পিতভাবে হামলাসহ বিভিন্ন অপরাধ করছে সংঘবদ্ধ অপরাধী চক্র। ইসরাইলি গোয়েন্দা সংস্থাগুলো পরিকল্পিত এই অপরাধ তত্ত¡াবধান করছে। ওই প্রামাণ্যচিত্রে ইসরাইলের অভ্যন্তরীন নিরাপত্তা বাহিনীর সাবেক এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বলা হয়, অপরাধী এই চক্রগুলোকে ইসরাইলি সেনাবাহিনী অস্ত্র সরবরাহ করছে। ইসরাইলের সংবাদমাধ্যমের তথ্য অনুসারে, এই বছর ইসরাইলে সংঘবদ্ধ অপরাধী চক্রের আক্রমণে অন্তত ২৭ আরব বাসিন্দা নিহত হয়েছেন। এই বছরের ৭ জানুয়ারি, অজ্ঞাত বন্দুকধারীর গুলিতে আরব-অধ্যুষিত উম্ম আল-ফাহম শহরের সাবেক মেয়র সুলাইমান ইগবারিয়া মারাত্মক আহত হন। ইসরাইলের ভ‚খÐে বাস করা ১৬ লাখ ফিলিস্তিনি আরব প্রতিনিয়তই বৈষম্যের শিকার হয়ে আসছেন। দেশটির জনসংখ্যার ২২ ভাগ এই আরব বাসিন্দারা তাদের বিরুদ্ধে বৈষম্যের প্রতিবাদ করে আসছেন। ইয়েনি শাফাক, হারেৎজ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।