Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের একাংশ ধ্বংস শিশুসহ নিহত ৫

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৩ মার্চ, ২০২১, ৯:৪০ এএম | আপডেট : ১১:৫৬ এএম, ২৩ মার্চ, ২০২১

সোমবার সন্ধ্যার পর থেকে উখিয়ার বালুখালি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। দীর্ঘক্ষণ পর ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি সেনাবাহিনী ও বিজিবিও বিরামহীন কাজ করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে এতে ক্ষতি হয়েছে ব্যাপক। যা এখনো নির্নয় করা সম্ভব হয়নি।

জানা যায়, কক্সবাজারের উখিয়ার বালুখালি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে তিন শিশুসহ পাঁচজন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় নয় হাজার রোহিঙ্গা বসতি ও শতাধিক স্থানীয় বসতি পুড়ে গেছে। স্থানীয় প্রশাসন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নিয়োজিত ১৪ এপিবিএন’র অধিনায়ক (পুলিশ সুপার) মো. আতিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, ‘রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় তিন শিশুসহ পাঁচজন নিহতের খবর পেয়েছি। তবে আমি এখনও মৃতদেহগুলো দেখিনি’।

উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আহমদ নিজাম উদ্দিন জানান, ‘রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ভয়াবহ আগুনে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে অন্তত নয় হাজার রোহিঙ্গা পরিবারের বসতি পুড়ে গেছে। একইভাবে শতাধিক বাংলাদেশি পরিবারের বসতবাড়ি পুড়ে গেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি সেনাবাহিনী ও বিজিবিও বিরামহীন কাজ করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে’।

জানা গেছে, সোমবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে উখিয়ার বালুখালী ৮ ও ৯ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। সর্বশেষ রাত সাড়ে ৯টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসলেও পুড়ে যায় নয় হাজারেও বেশি রোহিঙ্গাদের ঘর। এ ছাড়া পুড়ে যায় দেশি-বিদেশি বিভিন্ন এনজিও অফিস ও পুলিশ ব্যারাক।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান গফুর উদ্দিন জানিয়েছেন, ‘রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুনের ঘটনায় হাজার হাজার রোহিঙ্গা বালুখালী কাসেম মিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে আশ্রয় নিয়েছে। আশ্রয় নেয়া এসব রোহিঙ্গাদের অনেকের স্বজন নিখোঁজ রয়েছে। এ ছাড়া স্থানীয় বাংলাদেশী অন্তত দেড় শতাধিক পরিবারের বসতি পুড়ে গেছে।’

উখিয়া ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা মো. এমদাদুল হক জানান, ‘দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। আগুনে কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা বলা মশকিল। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অনেক। অন্তত দেড়/দুই কিলোমিটার এলাকা আগুনের লেলিহান শিখায় ধ্বংস হয়ে গেছে।’

উখিয়া ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা মো. এমদাদুল হক জানান, ‘দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। আগুনে কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা বলা মশকিল। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অনেক। অন্তত দেড়/দুই কিলোমিটার এলাকা আগুনের লেলিহান শিখায় ধ্বংস হয়ে গেছে।’

কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রফিকুল ইসলাম রাতে জানিয়েছেন, ‘রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আগুন অনেকটা নিয়ন্ত্রণে। তবে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ফায়ার সার্ভিসের দমকল বাহিনী ও সেনাবাহিনীসহ সাত ইউনিট কাজ করতে বেগ পেতে হয়েছে। তবে আগুনে কী পরিমাণ ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে তা এখনো নির্নয় করা কঠিন’।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: অগ্নিকাণ্ড

২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ