Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ভারতে ১৫০ মন্দিরে ‘অ-হিন্দুদের প্রবেশ নিষেধ’ নির্দেশিকা

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২২ মার্চ, ২০২১, ৮:০৫ পিএম

ভারতের উত্তর প্রদেশে গাজিয়াবাদে সম্প্রতি একটি মন্দিরে মুসলিম যুবক পানি খেয়েছিল বলে তাকে বেদম মারধর করা হয়েছে। এরপর সেখানকার দেহারুদুনে ১৫০টি মন্দিরে নির্দেশিকা ঝুলিয়ে দেয়া হলো, 'অ-হিন্দুদের প্রবেশ নিষেধ'। করল হিন্দু যুব বাহিনী বলে একটি সংগঠন। খবর ডয়েচে ভেলে।

গাজিয়াবাদের ওই দাসনাদেবী মন্দিরের প্রধান পুরোহিত হলেন নরসিংহানন্দ। তারই অনুগামীরা দেহরাদূনের চাকার্তা রোড, শুদ্ধওয়ালা, প্রেম নগরসহ বিভিন্ন এলাকার ১৫০টি মন্দিরে নির্দেশিকা ঝুলিয়ে দেয়। কোনো অ-হিন্দু সেখানে প্রবেশ করতে পারবেন না।

উত্তরাখণ্ডকে বলা হয় দেবতার আবাস। এখানে কেদারনাথ, বদ্রীনাথসহ প্রচুর প্রসিদ্ধ হিন্দু দেবস্থান আছে। গাজিয়াবাদের ওই দাসনাদেবী মন্দিরের প্রধান পুরোহিত হলেন নরসিংহানন্দ। তারই অনুগামীরা দেহরাদূনের চাকার্তা রোড, শুদ্ধওয়ালা, প্রেমনগর সহ বিভিন্ন এলাকার ১৫০টি মন্দিরে নির্দেশিকা ঝুলিয়ে দেয়। কোনো হিন্দু সম্প্রদায় ছাড়া সেখানে অন্য ধর্মের কেউ প্রবেশ করতে পারবেন না।

ভারতে অবশ্য এই বিতর্ক নতুন নয়। ইন্দিরা গান্ধী যখন প্রধানমন্ত্রী তখন তিনি পুরীর মন্দিরে ঢুকতে পারেননি। বলা হয়েছিল, পার্সিকে বিয়ে করেছেন বলে তিনি মন্দিরে ঢোকার অধিকার হারিয়েছেন। এই তালিকায় আরো কিছু মন্দিরও আছে। তবে উত্তরাখণ্ডে যে নির্দেশিকা ঝাোলানো হয়েছে তার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে গাজিয়াবাদে মন্দিরের ঘটনা। তাই এই নির্দেশিকা আলাদা মাত্রা পেয়েছে।

এ বিষয়ে হিন্দু যুবা বাহিনীর নেতা জিতু বান্ধোয়া জানিয়েছেন, উত্তরাখণ্ডের সব মন্দিরে তারা এই নির্দেশিকা লাগিয়ে দেবেন। হরিদ্বার, ঋষিকেশকে তো মন্দিরনগরী বলা হয়। সেখানে এই ধরনের নির্দেশিকা এতদিন দেখা যায়নি। সূত্র : খবর ডয়েচে ভেলে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভারত


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ