পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজধানীর কলাবাগান এলাকায় ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল মাস্টারমাইন্ডের ‘ও’ লেভেলের শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলায় পুলিশকে আগামী ৭ এপ্রিলের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলেছেন আদালত। গতকাল রোববার মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা ও কলাবাগান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) আ ফ ম আসাদুজ্জামান এক মাসের সময় চেয়ে আবেদন জানালে ঢাকা মহানগর হাকিম বেগম ইয়াসমিন আরা এই তারিখ নির্ধারণ করে দেন।
আবেদনে আ ফ ম আসাদুজ্জামান বলেছেন, এখনো প্রধান আসামির ডিএনএ এবং আসামি মাদকসেবী কি না সে সংক্রান্ত প্রতিবেদন পাওয়া যায়নি। নিহত শিক্ষার্থীর কাপড়ে লেগে থাকা রক্তের ডিএনএ পরীক্ষা করতে দেয়া হয়েছে। সেই প্রতিবেদনও হাতে আসেনি। যে কারণে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে আরও সময় প্রয়োজন। এই মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে এ পর্যন্ত পুলিশ চার দফা সময় চেয়ে আবেদন জানালো।
গত ৭ জানুয়ারি শিক্ষার্থীর বাবা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ওই দিন সকাল আনুমানিক সাড়ে ৮টার দিকে শিক্ষার্থীর মা কর্মস্থলের উদ্দেশে বাসা থেকে বের হয়ে যান। এর এক ঘণ্টা পরে তার বাবাও ব্যবসায়িক কাজে বাসা থেকে বের হন। দুপুর পৌনে ১২টার দিকে ওই শিক্ষার্থী তার মাকে ফোন করে কোচিং থেকে পড়ালেখা সংক্রান্ত পেপার্স আনার কথা বলে বাসা থেকে বের হয়েছিলেন। মামলার একমাত্র আসামি ‘ও’ লেভেল পড়ুয়া শিক্ষার্থী দুপুর আনুমানিক ১টা ১৮ মিনিটে ফোন করে ওই শিক্ষার্থীর মাকে জানান, মেয়েটি তার বাসায় গিয়েছিলেন। হঠাৎ অচেতন হয়ে পড়ায় তাকে আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেয়া হয়েছে।
অফিস থেকে বের হয়ে আনুমানিক দুপুর ১টা ৫২ মিনিটে শিক্ষার্থীর মা হাসপাতালে পৌঁছেন। হাসপাতালের কর্মচারীদের মাধ্যমে তিনি জানতে পারেন, আসামি তার কলাবাগান ডলফিন গলির বাসায় ডেকে নিয়ে মেয়েটিকে ধর্ষণ করেন। প্রচুর রক্তক্ষরণের কারণে অচেতন হয়ে পড়লে বিষয়টি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য আসামি নিজেই তাকে আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালে নিয়ে আসেন। খবর পেয়ে কলাবাগান থানা পুলিশের একটি দল হাসপাতালে গিয়ে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে এবং ময়নাতদন্তের জন্য লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠায়— উল্লেখ করা হয় এজাহারে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার গোপালপুরে পারিবারিক কবরস্থানে ওই স্কুলছাত্রীকে দাফন করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।