বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
নোয়াখালী সদর উপজেলার কালাদরাপ ইউনিয়নে গৃহবধূ ফারজানা আক্তার (টুনি) হত্যা ঘটনায় আবদুর রহিম জাভেদ প্রকাশ আরিফ নামের এক যুবককে আমৃত্যু কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। একই সাথে তাকে ১০ হাজার টাকা অর্থদন্ড, অনাদায়ে আরও ১ বছরের কারাদন্ড প্রদান করা হয়েছে।
গতকাল রোববার বিকেলে নোয়াখালী জেলা ও দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক সৈয়দ ফখরুল আবেদীন এ আদেশ প্রদান করেন। দন্ডপ্রাপ্ত আবদুর রহিম জাবেদ সদর উপজেলার কালাদরাপ ইউনিয়নের শুল্লকিয়া এলাকার চারুবানু গ্রামের আবদুল মান্নানের ছেলে।
জানা গেছে, চারুবানু গ্রামের আবদুল বাসেতের স্ত্রী ফারজানা আক্তার টুনির বাড়ির সড়ক দিয়ে চলাচল নিয়ে আসামী আবদুর রহিম জাবেদের সাথে বিরোধের সৃষ্টি হয়। ২০১৫ সালের ১২ জুলাই বিকেলে টুনির গাছের একটি নারিকেল কুড়ানোকে কেন্দ্র জাবেদের সাথে টুনির কথা কাটাকাটি হয়। এ ঘটনার জের ধরে জাবেদ ধারালো দা দিয়ে টুনিকে মাথায় একাধিক আঘাত করলে রক্তাক্ত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে টুনি। পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় নিহতের বাবা নুরুল আমিন বাদী হয়ে ২০১৫ সালের ১৩ জুলাই আবদুর রহিম জাবেদকে আসামি করে সুধারাম থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ তদন্ত শেষে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সুধারাম থানার এসআই ইকবাল হোসেন ২০১৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
গতকাল আদালত ১৭ জনের স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্য গ্রহণ শেষে অভিযুক্ত আসামি আবদুর রহিম জাবেদকে আমৃত্যু কারাদন্ড, ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ১ বছরের কারাদন্ড প্রদান করেন। রাষ্ট্র পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট গোলাম আকবর এবং আসামির পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট আবদুর রহিম রাসেল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।