নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
তিন বছর আগে লিভারপুলের স্বপ্ন গুঁড়িয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে হ্যাটট্রিক শিরোপা জয়ের উৎসব করেছিল রিয়াল মাদ্রিদ। আবারও প্রতিযোগিতাটিতে মুখোমুখি হতে যাচ্ছে দল দুটি। স্প্যানিশ চ্যাম্পিয়নদের পরীক্ষা নিতে অধীর হয়ে আছেন ইয়ুর্গেন ক্লপ। তবে জিনেদিন জিদানের দলকে নিয়ে সতর্ক লিভারপুল কোচ। এবার কোয়ার্টার-ফাইনালের ড্রয়ে প্রতিযোগিতাটির সফলতম দলটিকে প্রতিপক্ষ হিসেবে পেয়েছে লিভারপুল।
২০১৭-১৮ আসরের ফাইনালে লিভারপুল গোলরক্ষক লরিস কারিয়ুসের মারাত্মক দুটি ভুল ও গ্যারেথ বেলের অসাধারণ ওভারহেড কিকে ৩-১ গোলে জিতেছিল রিয়াল। ঘরে তুলেছিল টানা তৃতীয় ও রেকর্ড ১৩তম শিরোপা। এর পরপরই দলটির দায়িত্ব ছাড়েন জিদান। ফরাসি এই কোচ পরে ফিরে আসেন আবার।
লিভারপুল ফাইনালে ওঠে পরের আসরেও, ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ প্রতিপক্ষ টটেনহ্যাম হটস্পারকে হারিয়ে প্রতিযোগিতাটিতে নিজেদের ষষ্ঠ শিরোপা জেতে তারা।
আবার যখন রিয়ালের মুখোমুখি লিভারপুল, তাদের সামনে সুযোগ তিন বছর আগের ক্ষতে কিছুটা প্রলেপ দেওয়ার। শেষ আটের ড্রয়ের পর ক্লপ বলেন, রিয়াল ম্যাচের জন্য মুখিয়ে আছেন তিনি, ‘এটা রোমাঞ্চকর। অবশ্যই এটা কঠিন ড্র, তবে ঠিক আছে। কারণ (শেষ আটের) বাকি দলগুলোর দিকে তাকালেও মনে হবে, সব দলই শক্তিশালী, সবাই শীর্ষমানের। সত্যিই আমি ম্যাচ দুটির জন্য মুখিয়ে আছি। মাত্র দুই বছর আগে আমরা তাদের মুখোমুখি হয়েছিলাম, আমাদের জন্য খুব কঠিন রাত ছিল সেটি। তাই আবার তাদের বিপক্ষে খেলার সুযোগ পাওয়া দারুণ ব্যাপার। যদিও এটা আলাদা রাউন্ড।’
করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে ভ্রমণে বিধিনিষেধের কারণে প্রথম লেগ রিয়ালের মাঠে নাকি অন্য কোথাও হবে, তা নিশ্চিত নয়। তবে সবকিছু এখনকার মতো থাকলে ফিরতি লেগ হতে পারে অ্যানফিল্ডে। এসব নিয়ে ভাবছেন না বলে জানান ক্লপ।
ইউরোপ সেরার প্রতিযোগিতাটিতে দুই দল এখন পর্যন্ত মুখোমুখি হয়েছে ছয়বার, জয় সমান তিনটি করে। এর মধ্যে আছে ১৯৮০-৮১ আসরের ফাইনালে লিভারপুলের ১-০ গোলের জয়। দুই লেগের নকআউট পর্বে এর আগে একবারই মুখোমুখি হয়েছে তারা। ২০০৮-০৯ মৌসুমে শেষ ষোলোয় দুই লেগ মিলিয়ে ৫-০ গোলে জিতেছিল লিভারপুল। এছাড়া ২০১৪-১৫ আসরে গ্রæপ পর্বের দেখায় ঘরের মাঠে ১-০ ও অ্যানফিল্ডে ৩-০ গোলে জিতেছিল রিয়াল।
লিভারপুলের কোচ হিসেবে ক্লপ রিয়ালের মুখোমুখি হয়েছেন একবারই। এছাড়া ছয়বার তাদের মুখোমুখি হয়েছেন তিনি বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের কোচ থাকাকালীন। এর মধ্যে ২০১২-১৩ মৌসুমে সেমি-ফাইনালে রিয়ালকে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছিল ডর্টমুন্ড।
উল্লেখ্য, দুই লেগের কোয়ার্টার-ফাইনালের ম্যাচ গুলো হবে ৬-৭ ও ১৩-১৪ এপ্রিল। সেমি-ফাইনালের প্রথম লেগ মাঠে গড়াবে ২৭-২৮ এপ্রিল। ফিরতি লেগের খেলা হবে ৪-৫ মে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।