Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

প্রয়োজনে নিজের পদক দিয়ে দেবেন ক্লপ

স্পোর্টস ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৫ জুলাই, ২০২০, ১২:০২ এএম

৩০ বছর আগের একটা ঘটনায় চোখ ফেরানো যাক। ১৯৯০ সালের মার্চে লিভারপুলে আসা ইসরায়েলি স্ট্রাইকার রনি রোজেনদাল বেশ কিছু গোল করে দলকে শিরোপা জেতাতে সাহায্য করেছিলেন। শেষমেশ শিরোপা জয়ের পদক জোটেনি তার কপালে। তখন নিয়ম ছিল, পদক পেতে হলে কমপক্ষে ১০ ম্যাচে নামতেই হবে। সে নিয়ম একটু শিথিল হয়ে এখন পাঁচ ম্যাচে নেমেছে। অর্থাৎ গোটা মৌসুমে যাঁরা অন্তত পাঁচ ম্যাচ খেলবেন না, তাঁদের দল ইংলিশ লিগ শিরোপা জিতলেও কপালে পদক জুটবে না। ফলে যুগে যুগে রনি রোজেনদালের ভাগ্য বরণ করতে হয়েছে অনেক তারকাকে। গ্যারি নেভিল (ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, ১৯৯৩-৯৪), নেমানিয়া মাতিচ (চেলসি, ২০০৯-১০), ফেদেরিকো মাচেদা (ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, ২০০৮-০৯), হোসে বসিংগা (চেলসি, ২০০৯-১০), মোহাম্মদ সালাহ (চেলসি, ২০১৪-১৫) প্রমুখ।
এ নিয়ে সমালোচনাও হয় অনেক। প্রিমিয়ার লিগ কর্তৃপক্ষ এই সমালোচনার হাত থেকে বাঁচতে যদিও অনানুষ্ঠানিকভাবে একটা নিয়ম চালু করেছে। মৌসুম শেষে বিজয়ী দলকে তারা মোট ৪০টি পদক দিয়ে দেয়। এখন বিজয়ী দল কাকে পদক দেবে, সেটা তাদের ব্যাপার। তবুও দেখা যায়, ৪০টি পদক সমানভাগে ভাগ করতে গিয়ে কে কয়টা ম্যাচ খেলল, সেটার দিকেই লক্ষ রাখে দলগুলো। আর এই নিয়মটাই পছন্দ হচ্ছে না এবারের চ্যাম্পিয়ন লিভারপুলের জার্মান কোচ ইয়ুর্গেন ক্লপের। দল ৩০ বছর পর পরম আরাধ্য লিগ জিতেছে, এই লিগ জয়ের পথে যাঁদের সামান্যতমও অবদান রয়েছে, তাঁদেরকেও পুরস্কৃত করতে চান ক্লপ। সবাই যেন অন্তত জয়ের পদক পান, সেটা নিশ্চিত করতে চান ক্লপ, ‘আমি জানি না এসব নিয়ম কে বানায় আসলে। কেউ যদি একটা ম্যাচও খেলে, তাও তো তাঁকে পদক দেওয়া উচিত। লোকজন যদি এখন না বোঝে, একটা চ্যাম্পিয়নশিপ জয়ের ক্ষেত্রে গোটা স্কোয়াডের ভ‚মিকা কত বেশি, তাহলে তো তাঁদের এভাবে বোঝানো যায় না সত্যি বলতে। আপনি যদি শিরোপাজয়ী দলের দ্বিতীয় গোলরক্ষক হন এবং প্রয়োজনের তুলনায় কম ম্যাচ খেলেন, তাও আপনার পদক পাওয়া উচিত। সারা বছরজুড়ে আপনি যদি দলের সঙ্গে পঞ্চাশ লাখবার অনুশীলন করেন তাও আপনার পাওয়া উচিত। অনুশীলন না করলে শিরোপা জেতা যায় না। কেউ একজন বলে দিল পদক পেতে পাঁচটা ম্যাচ খেলতে হবে, এটা কোনো কথা?’
নিকো উইলিয়ামস, কার্টিস জোন্স, হার্ভি এলিয়টের মতো তরুণ তারকারা দুটি করে ম্যাচ খেলেছেন। ফলে এখনো পদক পাওয়ার যোগ্য নন তারা। এমন পরিস্থিতি যাতে না হয় সে ক্ষেত্রে সর্বাত্মক চেষ্টা করবেন ক্লপ। দরকার হলে নিজের পদক দিয়ে দেবেন, ‘১০০% নিশ্চিত থাকুন আমার ছেলেরা সবাই পদক পাবে। দরকার হলে আমি আমারটা দিয়ে দেব ওদের। যদিও এটা নিয়ম না। প্রিমিয়ার লিগের উচিত এই নিয়মটা নিয়ে আরেকটু চিন্তাভাবনা করা।’
৭ ম্যাচ হাতে রেখেই শিরোপা নিশ্চিত করে ফেলেছে লিভারপুল। এখনো হাতে আছে ৬ ম্যাচ। ক্লপ চাইলেই পাঁচের চেয়ে কম ম্যাচ খেলা খেলোয়াড়দের এসব ম্যাচে সুযোগ দিয়ে দিয়ে পদক পাওয়ার সুযোগ করে দিতে পারেন যদিও!



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ