পাবনার চাটমোহরে ১১টি পরিবার ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে নিঃস্ব হয়ে গেছে। বৃহস্পতিবার দুপুরের পর উপজেলার ডিবিগ্রাম ইউনিয়নের হোগলবাড়িয়া গ্রামের আয়নাল হকের বাড়ির বিদ্যুতের শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত ১১টি পরিবারের ৩৭টি ঘর, নগদ টাকা, মশুর, চাল, ধান, পাট, সরিষাসহ ফসলাদি পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৮০ লাখ টাকা হয় বলে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যরা জানান।

আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মধ্যে পাট ব্যবসায়ী নান্টুর ৩টি ঘর, ১টি মোটর সাইকেল,নগদ ৩ লাখ টাকাসহ আসবাবপত্র,আয়নালের ১টি ঘর,শাহেদ আলীর ৩টি ঘর,জায়দুল ইসলামের ৩টি ঘর,জাকিরুল ইসলামের ৩টি ঘর,আফজাল হোসেনের ২টি ঘর,আফান আলীর ৪টি ঘর,আঃ রশিদের ৫টি ঘর,জয়নাল আবেদীনের ৬টি ঘর.বাকিবিল­াহর ৩টি ঘর,বাবু মিয়ার ২টি ঘর ও আঃ লতিফের ২টি ঘর রয়েছে। এছাড়া ঘরের সকল আসবাবপত্র, টেলিভিশন,ফসলাদিসহ সব কিছু পুড়ে গেছে।

সেখানে উপস্থিত স্থানীয় ইউপি সদস্য আফসার আলী জানান, আয়নালের ঘর থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। নিমিষে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। গ্রামের লোকজন আশপাশ থেকে পানি এনে আগুন নেভানোর আপ্রাণ চেষ্টা করতে থাকে। খবর পেয়ে চাটমোহর থেকে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি আসার আগেই পাশাপাশি বাড়ির ঘরগুলো সব পুড়ে যায়। তিনি দাবি করেন ক্ষতির পরিমাণ কোটি টাকা হবে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো এখন খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করছে।

খবর পেয়ে সন্ধ্যায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.সৈকত ইসলাম, ডিবিগ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান নবীর উদ্দিন মোল্লা, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আঃ ওয়াহেদ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। ইউএনও সৈকত ইসলাম জানান,ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে শুকনো খাবার দেওয়া হয়েছে।

পরবর্তীতে তাদের সহযোগিতার ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উপজেলা চেয়ারম্যান ও পাবনা রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব আঃ হামিদ মাস্টার ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর থাকার জন্য তাবু দেওয়ার কথা বলেছেন। এছাড়া প্রতিটি পরিবারকে তিনি সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন।