এডিট করা যাবে পাঠানো মেসেজ! অতি প্রয়োজনীয় ফিচার আনছে হোয়াটসঅ্যাপ
অ্যাপেল কিংবা টেলিগ্রামের মতো অ্যাপগুলিতে মেসেজ পাঠিয়ে দেয়ার পরও তাতে কোনও ভুল থাকলে এডিট করা
তরুণ প্রজন্ম বা অল্পবয়সি ইউজারদের জন্য এবার নিজেদের প্ল্যাটফর্মকে আরও সুরক্ষিত করার পদক্ষেপ নিয়েছে ইনস্টাগ্রাম। বেশ কিছু ক্ষেত্রে টিনএজ ইউজারদের জন্য অ্যাপের সুরক্ষা ব্যবস্থা আরও জোরাল করা হয়েছে।
সোশ্যাল মিডিয়া এখন আর কেবল প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে আটকে নেই। অনেকেই ফেসবুক, ইনস্টাগ্রামের মতো সোশ্যাল মেসেজিং অ্যাপ ব্যবহার করে। ১৩ বছর বয়স হলেই যে কেউ ইনস্টাগ্রামে নিজস্ব প্রোফাইল খুলতে পারে। কিন্তু টেক নির্ভর এই সময়ে অনেকক্ষেত্রেই ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা সাইবার অপরাধের শিকার হতে পারে। দেখা যায়, ভুলবশত কোনও অপরাধীর খপ্পরেও পড়ে যায় তারা। অনেক সময় নাবালিকারা অস্বস্তিকর নানান মেসেজ পায়। এবার এই সমস্ত কিছু রুখতেই পদক্ষেপ ইনস্টাগ্রামের। নতুন সুরক্ষা ব্যবস্থায়, কোনও টিনএজ ইউজারকে চাইলেই প্রাপ্তবয়স্ক কেউ সরাসরি মেসেজ করতে পারবেন না। যদি না ওই টিনএজ ইউজার তাকে ফলো করে থাকে।
এছাড়া ‘সেফটি প্রম্পট’ নামে আরও একটি ফিচার সামনে এনেছে ইনস্টাগ্রাম। যেখানে কোনও প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি একাধিক টিনএজারকে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠালে কিংবা ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে সন্দেহজনক কাজকর্ম করার অভিযোগ উঠলে তাদের বিশেষভাবে চিহ্নিত করবে। পরবর্তীতে ওই ব্যক্তিকে কোনও টিনএজ ইউজার মেসেজ করলে সেই ইউজারকে ‘সেফটি প্রম্পট’ ফিচারের পক্ষ থেকে ওই ব্যক্তির ব্যাপারে জানানোও হবে।
এই ফিচারের মাধ্যমে টিন এজাররা চাইলে ওই ব্যক্তির নামে রিপোর্ট বা ব্লক করতেও পারবে। এছাড়া ইনস্টাগ্রামের পক্ষ থেকে নতুন এক ধরনের এআই এবং মেশিন লার্নিং টেকনোলজিও তৈরির চেষ্টা চলছে। যাতে অ্যাপটিতে কেউ লগ ইন করলেই তার বয়স জানতে পারা যাবে। আর এই সমস্ত কিছুই করা ব্যবহারকারীদের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে। সূত্র: দ্য হিন্দু।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।