নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
জাতীয় দলের জার্সিতে ফের দেখা যাবে এসি মিলানের হয়ে দুর্দান্ত ফর্মে থাকা জøাতান ইব্রাহিমোভিচকে। ফিফা ২০২২ বিশ্বকাপের বাছাইপর্বের ম্যাচের জন্য ঘোষিত দলের বিবেচনায় বেশ ভালোভাবেই আছেন সুইডেনের রেকর্ড গোলদাতা ইব্রা। কাতার বিশ্বকাপের ইউরোপিয়ান অঞ্চলের বাছাইপর্বে নিজেদের প্রথম দুই ম্যাচে আগামী ২৫ মার্চ জর্জিয়া ও এর তিন দিন পর কসোভোর বিপক্ষে খেলবে সুইডেন। এই দুটি ম্যাচের জন্যই অবসর নেওয়ার ৫ বছর পর পুনরায় জাতীয় দলের ডাক পেলেন ইব্রা। এর পরই ইব্রাহিমোভিচ তার স্বভাবসুলভ ভাষায় টুইট করেছেন, ‘ঈশ্বরের ফেরা’।
গত বছরের নভেম্বরে এক পত্রিকাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ফের জাতীয় দলের হয়ে খেলার ইচ্ছে প্রকাশ করেছিলেন ৩৯ বছর বয়সী স্ট্রাইকার। এরপরই সুইডেনের কোচ হেন অ্যান্ডারসন মিলানের উদ্দেশ্যে উড়াল দেন ইব্রার সঙ্গে সাক্ষাৎ করার জন্য। সুইডেন ২০১৮ বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব উতরানোর পর তার ফেরার একটি সম্ভাবনার কথা শোনা যাচ্ছিল। তিনি নিজেও রাশিয়া বিশ্বকাপে খেলার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু কোচ অ্যান্ডারসন সেবার তাকে জায়গা দেননি দলে। ইব্রাহিমোভিচ সেজন্য পরে দায় দিয়েছিলেন সংবাদমাধ্যমকে।
২০০১ সালে ফারো আইল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে সুইডেন জাতীয় দলে অভিষেক হয় ১৯ বছর বয়সী ইব্রাহিমোভিচের। এরপর দলে ছিলেন আসা যাওয়ার মধ্যে। ২০০৪ সালের ইউরোর গ্রæপ পর্বে ইতালির বিপক্ষে ব্যাক-হিলে অসাধারণ এক গোল করে বেশ প্রশংসা কুড়িয়েছিলেন ইব্রাহিমোভিচ। কিন্তু কোয়ার্টার-ফাইনালে নেদারল্যান্ডসের কাছে টাইব্রেকারে হেরে বিদায় নেয় তার দল। সেই ম্যাচে টাইব্রেকারে গোল করতে ব্যর্থ হন তিনি। ২০১২ সালের ইউরোতে সুইডেনের নেতৃত্ব পান ইব্রাহিমোভিচ। ফ্রান্সের বিপক্ষে ২-০ ব্যবধানের জয়ে ভলি থেকে অসাধারণ এক গোল করেন তিনি, যেটা ছিল টুর্নামেন্টের সেরা গোলগুলির একটি। তবে গ্রæপ পর্ব থেকেই বাদ পড়ে তার দল। গ্রæপ পর্ব থেকে বিদায় নিতে হয় পরের ইউরোতেও। এরপরই বেজে যায় ইব্রাহিমোভিচের বিদায়ঘণ্টা।
তবে সময়ের ¯্রােতে পায় নতুন শুরুর ছন্দ। বয়স হলেও ধার যে এখনও যথেষ্ট আছে, সেটির প্রমাণ সিরি ‘আ’য় তার পারফরম্যান্স। চলতি মৌসুমে মিলানের হয়ে ১৪ ম্যাচে করেছেন ১৪ গোল। সেটিই তাকে ফিরিয়েছে জাতীয় দলে।
২০০৬ বিশ্বকাপে সুইডেনের আক্রমণভাগের মূল ভরসা হিসেবে খেললেও করতে পারেননি কোনো গোল।
২০০৬ আর ২০০৭-এই দুই বছর সুইডেনের হয়ে কোনো গোলই পাননি ইব্রাহিমোভিচ। এই সময়ে ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে তার ঝামেলা চলছিল এবং অল্প সময়ের জন্য জাতীয় দল থেকে স্বেচ্ছা নির্বাসনও নিয়েছিলেন তিনি। ২০০৮ সালের ইউরোতে আবার পান দলের দেখা।
২০১০ বিশ্বকাপের মূলপর্বে খেলা হয়নি তার দেশের।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।