বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
মৌলভীবাজারে নিজ বাসায় ফ্যানে ঝুলন্ত অবস্থায় এএম খলিল উল্লাহ মুক্তি (৫০) নামে এক ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বুধবার ১৭ মার্চ দুপুর দেড়টার দিকে মৌলভীবাজার শহরের পুরাতন হাসপাতাল সড়কে অবস্থিত এম আব্দুল্লাহ ভবনের একটি কক্ষ থেকে ফ্যানের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। খলিল উল্লাহ মুক্তি মৌলভীবাজার শহরের বিশিষ্ট ঠিকাদার প্রয়াত এম আব্দুল্লার চতুর্থ পুত্র। ৪ ভাই ও ২ বোনের মধ্যে মুক্তি ছিলেন চতুর্থ।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, বুধবার দূপুরের দিকে পুরাতন হাসপাতাল সড়কের বাসার তৃতীয় তলার একটি কক্ষে ফ্যানে ঝুলন্ত অবস্থায় মুক্তির মৃতদেহ দেখতে পান পরিবারের সদস্যরা। মৃতদেহ দেখেই পরিবারের সদস্যদের মধ্যে শুরু হয় আর্তচিৎকার। এ সময় তার কক্ষের দরজা খোলা ছিল। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন মৌলভীবাজার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইয়াছিনুল হক ও পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) বদি উজ্জামান এর নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল।
এসময় সেখানে স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফয়সল আহমদসহ বিপুল সংখ্যক প্রত্যক্ষদর্শী উপস্থিত ছিলেন। পরে মৃতদেহ উদ্ধার করে এম্বুল্যান্সে করে ময়না তদন্তের জন্য মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতালে নিয়ে যায় পুলিশ।
মৌলভীবাজার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইয়াছিনুল হক জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে এটি আত্মহত্যা। তবে ময়না তদন্ত প্রতিবেদন আসলেই জানা যাবে প্রকৃত কারণ।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, খলির উল্লাহ মুক্তি দীর্ঘদিন যুক্তরাজ্যে বসবাস করে আসছিলেন, সেখানে তার ৩ সন্তান ও স্ত্রী রয়েছেন। তবে দেশে এসে তিনি অরেক বিয়ে করে পুরাতন হাসপাতাল সড়কের নিজ বাসায় বসবাস করে আসছেন। দেশে স্ত্রী ছাড়াও রয়েছেন তার ২ কন্যা সন্তান। তবে ঘটনার সময় ওই বাসায় ছিলেননা তার স্ত্রী। তার মৃত্যুকে ঘিরে নানা রহস্য সৃষ্টি হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।