মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে। ফলে বিপুল ভোটে জিততে পারবে না তৃণমূল বা বিজেপি কেউই। তবে সর্বশেষ জরিপের হিসাবমতে, একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে তৃণমূলের জয়ের সম্ভাবনাই বেশি। সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভার নির্বাচন নিয়ে এবিপি-আনন্দ এবং সি-ভোটার পরিচালিত তিনটি জনমত জরিপেও তৃণমূল কংগ্রেসের জয়ের ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। জরিপগুলো বলছে, তৃণমূলের সঙ্গে বিজেপির তীব্র লড়াই হলেও শেষমেশ জিতবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। আবারও সরকার গড়বে তারা। আর মমতাই হবেন রাজ্যটির তৃতীয়বারের মতো মুখ্যমন্ত্রী।
এবিপি-আনন্দ এবং সি-ভোটারের তৃতীয় দফা ও সর্বশেষ নির্বাচনী জনমত জরিপের ফলাফল আজ মঙ্গলবার কলকাতার সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৩ মার্চ পর্যন্ত পরিচালিত এই জরিপে রাজ্যের ১৯ হাজার ৩১৪ জন ভোটার নিজেদের মতামত দেন।
ফলাফলে দেখা যাচ্ছে, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিধানসভার ২৯৪টি আসনের মধ্যে তৃণমূল পেতে পারে ১৫০ থেকে ১৬৬টি আসন। আর বিজেপি পেতে পারে ৯৮ থেকে ১১৪টি আসন। বাম-কংগ্রেস-আইএসএফ জোট পেতে পারে ২৩ থেকে ৩১টি আসন। আর অন্যরা পেতে পারে ৫টি আসন।
এর আগে ২৭ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত দ্বিতীয় জরিপের প্রতিবেদনে বলা হয়, তৃণমূল পেতে পারে ১৪৮ থেকে ১৬৪টি আসন। বিজেপি পেতে পারে ৯২ থেকে ১০৮টি আসন আর বাম-কংগ্রেস জোট পেতে পারে ৩১ থেকে ৩৯টি আসন। তবে তৃতীয় দফা জরিপে দেখা যাচ্ছে, তৃণমূলের আসন বেড়েছে। বেড়েছে বিজেপির আসনও। তবে কমেছে বাম-কংগ্রেস জোটের আসন।
গত ১৯ জানুয়ারি প্রকাশিত প্রথম দফা জরিপে বলা হয়েছিল, তৃণমূল পেতে পারে ১৫৪ থেকে ১৬২টি আসন। বিজেপি পেতে পারে ৯৮ থেকে ১০৬টি আসন। আর বাম-কংগ্রেস জোট পেতে পারে ২৬ থেকে ৩৪টি আসন। তৃতীয় দফায় দেখা যাচ্ছে, তৃণমূল এবং বিজেপির আসন বাড়লেও কমেছে বাম-কংগ্রেস-আইএসএফ জোটের আসন।
এই জরিপে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে, তৃণমূল পেতে পারে ৪৩ শতাংশ ভোট। আর বিজেপি ৩৭.৫ শতাংশ এবং বাম-কংগ্রেস-আইএসএফ জোট পেতে পারে ১১.৮ শতাংশ ভোট। ৪২ শতাংশ ভোটার মনে করেন এবার তৃণমূল জিতবে। ৩৯ শতাংশ মনে করেন বিজেপি জিতবে। আর বিধানসভা ঝুলন্ত বা ত্রিশঙ্কু হবে মনে করেন মাত্র ২ শতাংশ ভোটার।
সর্বশেষ জরিপে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে মমতাকে পছন্দ করেছেন ৫২ শতাংশ ভোটার। বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষকে পছন্দ করেছেন ২৭ শতাংশ, বিজেপির নেতা মুকুল রায়কে ৭ শতাংশ, কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী এবং সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীকে ২ শতাংশ ভোটার পছন্দ করেছেন। সূত্র : আনন্দবাজার
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।