নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
জাভি হার্নান্দেজের পাশে বসলেন লিওনেল মেসি। কাতালান ক্লাবটির জার্সি গায়ে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলার জাভির রেকর্ডে ভাগ বসিয়ে থামলেন না সেখানেই। জোড়া গোল করে ইউরোপীয় শীর্ষ পাঁচ লিগের ইতিহাসে প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে টানা ১৩ মৌসুম ২০ গোলের রেকর্ড গড়লেন তিনি। গড়েও দিলেন একটি। তাতে বার্সেলোনাও পেয়েছে ৪-১ গোলের দারুণ এক জয়। কমিয়েছে শীর্ষে থাকা অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের সঙ্গে ব্যবধান। ২৭ ম্যাচ শেষে বার্সার পয়েন্ট দাঁড়াল ৫৯ এ। ফলে রিয়াল মাদ্রিদকে ২ পয়েন্টে পেছনে ফেলে দিয়েছেন মেসিরা, উঠে এসেছে তালিকার দ্বিতীয় স্থানে। আর শীর্ষে থাকা অ্যাটলেটিকো থেকে ৪ পয়েন্টের দূরত্বে এসে দাঁড়িয়েছে কোচ রোনাল্ড কোমানের দল।
গতপরশু রাতে ন্যু ক্যাম্পে হুয়েস্কার বিপক্ষে প্রথম একাদশে সুযোগ পেয়েই রেকর্ডটা স্পর্শ করেন মেসি। বার্সেলোনার হয়ে এটি তার ৭৬৭তম ম্যাচ। আগামী সুপার সানডের রাতে রিয়াল সোসিয়েদাদের বিপক্ষে একাদশে থাকলে, রেকর্ডটা থেকে জাভির নাম মুছে, নিজের নাম একক ভাবে লিখবেন লিও।
২০০০ সালে মাত্র ১৩ বছর বয়সে বার্সেলোনার অ্যাকাডেমিতে আসেন লিওনেল মেসি। এরপর ৪ বছর যেতে না যেতেই, মূল দলে অভিষেক হয় তার। এরপর থেকে বার্সেলোনার যা কিছু সাফল্য তার সবকিছুতেই জড়িয়ে আছে আর্জেন্টাইন সুপারস্টারের নাম। ক্লাব ইতিহাসের সবচেয়ে বেশি গোল, সবচেয়ে বেশি শিরোপা জয়ের রেকর্ডগুলোতেও মেসির জয়জয়কার। রদ্রিগেজ কিংবা ইনিয়েস্তারা এখন সেখানে কেবল দর্শক। শুধু কি তাই! ক্লাব জার্সি গায়ে যে কোন টুর্নামেন্টে সবচেয়ে বেশি অ্যাসিস্টেও আছে মেসির নাম। আর হ্যাটট্রিক কিংবা মৌসুমের সর্বোচ্চ গোল এসব তো অনেক আগে থেকেই আছে মেসির নামে।
এদিকে, বার্সার হয়ে সর্বোচ্চ ম্যাচ খেলায় মেসির প্রতি সন্মান জানিয়ে মেসির আইকনিক সেলিব্রেশন কপি করে স্পেশাল এই রেকর্ডের জন্য তাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন বার্সার সাবেক খেলোয়াড়রা। যার মধ্যে ছিলেন স্বয়ং জাভি হার্নান্দেজ নিজেও। এছাড়া তার সাবেক সতীর্থ নেইমার জুনিয়র এবং লুইস সুয়ারেজরাও ছবি পোস্ট করেছেন মেসিকে উইশ করে। অভিনন্দন জানিয়েছেন বার্সা কিংবদন্তি কার্লোস পুয়োল। ক্লাবের হয়ে সর্বোচ্চ ম্যাচের রেকর্ড ছোঁয়ার দিনে আলো ছড়ানো মেসির প্রশংসায় ভাষা খুঁজে পাচ্ছেন না কোচ কোমান, ‘মেসি সম্পর্কে আর কী-ই বা বলার আছে? অনেক বছর ধরে, ম্যাচের পর ম্যাচ সে তার মান ধরে রেখেছেৃবার্সেলোনার ইতিহাসে সে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ফুটবলার এবং আমাদের সৌভাগ্য হলো সে এখনও এখানে আছে। আমি মনে করি, বিশ্বসেরা ফুটবলার হিসেবে সে নিজেকে প্রমাণ করেছে। প্রথম যে গোলটা করল তা ছিল অসাধারণ। এই দলের সেই সবকিছুর মূল।’ ছয়বারের বর্ষসেরা ফুটবলারের পাশে খেলার অভিজ্ঞতা জানানোর সময় স্পেন জাতীয় দলে প্রথমবারের মতো ডাক পাওয়া ১৮ বছর বয়সী পেদ্রির কণ্ঠেও ছিল ভালোলাগার ছোঁয়া, ‘লিওর পাশে খেলা পরম আনন্দের। আমি প্রতিদিন অনুশীলনে যাওয়া উপভোগ করি।’
আর মেসি নিজে? স্বভাবসূলভ নমনীয়তায় ক্লাব, সতীর্থ, বন্ধু আর পরিবারের প্রতি কৃতজ্ঞতাতেই বন্দী লিওর কলম। অফিসিয়াল ইনস্টাগ্রামে সময়ের সেরা তারকা লিখেছেন, ‘বার্সার জার্সিতে এতগুলো ম্যাচ খেলা সত্যিই অনেক গর্বের। দীর্ঘ এই সময়টায় আমার পাশে থাকার জন্য, আমাকে সহযোগীতা করার জন্য আমার ক্লাব, সতীর্থ, পরিবার ও বন্ধুদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।