নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের সমস্যা স্ট্রাইকিং। আন্তর্জাতিক ম্যাচগুলোতে ফরোয়ার্ডদের ব্যর্থতায় বাংলাদেশ এ যাবত অনেক ম্যাচ জয় বঞ্চিত হয়েছে। নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড এলিটা কিংসলে বাংলাদেশি নাগরিকত্ব গ্রহণ করায় ফুটবলাঙ্গনে ফিরেছে স্বস্তির নি:শ্বাস। সংশ্লিষ্টদের বিশ্বাস কিংসলে টানবেন জাতীয় দলকে। তবে কিংসলে জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়ার বিষয়টি নির্ভর করছে ব্রিটিশ হেড কোচ জেমি ডে’র ওপর।
গতকাল জাতীয় দলের অনুশীলন শেষে জেমি ডে কথা বলেছেন কিংসলে প্রসঙ্গে, ‘জাতীয় দলে খেলার জন্য যোগ্য যে কেউ থাকবে আমার বিবেচনায়। তার (কিংসলে) যদি সব যোগ্যতা থাকে তাহলে কেন নয়। তাকে লিগে আগে পারফরম্যান্স করতে হবে। লিগের পারফরম্যান্স দেখেই আমি দলে ডাকব।’
জুনে কাতারে বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের তিন ম্যাচ। এপ্রিলে শুরু হবে লিগের দ্বিতীয় লেগ। কিংসলে দ্বিতীয় লেগে পারফরম্যান্স করতে পারলে বাংলাদেশ দলের জার্সি গায়ে চাপাতে পারবেন। কিংসলেকে ব্যক্তিগতভাবে চেনেন জেমি, ‘এই বছর সে খেলেনি। আরামবাগের হয়ে খেলা কিছু ম্যাচ দেখেছি তার। তবে এখন কী অবস্থায় আছে, সেটি দেখতে হবে।’
বিদেশি থেকে নাগরিকত্ব পরিবর্তন করলেই বাংলাদেশ দলে খেলার ডাক সহজেই মিলবে না, ‘দেশি ফুটবলারও রয়েছে মানসম্পন্ন। বিদেশি বংশোদ্ভূত বা নাগরিকত্ব পরিবর্তন করলেই জাতীয় দলে খেলা যাবে না। দেশি ফুটবলারদের সাথে যোগ্যতার পরীক্ষা দিয়েই জাতীয় দলে জায়গা নিতে হবে।’
অবশ্য এলিটা কিংসলিকে দ্রæত পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী জাতীয় দলের ম্যানেজার ইকবাল হোসেন, ‘আমরা সবাই ওকে চিনি। খুব ভালো খেলোয়াড়। আজ সকালে জানলাম সে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব পেয়েছে। কিংসলিকে জাতীয় দলে পেলে খুব উপকার হবে। ফেডারেশনের সঙ্গে আজই ওকে কতটা দ্রæত পাওয়া যায়, সে ব্যাপারে আলাপ করব।’
প্রসঙ্গত, ২০১১ সালে প্রথম বাংলাদেশে খেলতে আসেন কিংসলি। সেবার খেলেছিলেন আরামবাগ ক্রীড়া সংঘের জার্সিতে। এরপর মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়াচক্র আর বিজেএমসি হয়ে সর্বশেষ বাতিল হওয়া মৌসুমে আরামবাগে ফিরেছিলেন তিনি। করোনার কারণে লিগ বাতিল হওয়ার আগে তিনিই ছিলেন সর্বোচ্চ গোলদাতা। সেবার পাঁচ ম্যাচে পাঁচ গোল করেছিলেন তিনি। কিন্তু এবারের লিগে তিনি খেলেননি। ব্যস্ত ছিলেন নাগরিকত্ব পাওয়ার প্রচেষ্টায়। ২০১৫ সালে চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ফুটবল টুর্নামেন্টে চট্টগ্রাম আবাহনীর হয়ে মাতিয়েছিলেন তিনি। দেখিয়েছিলেন নিজের গোল করার ক্ষমতা। সে বছরই নাগরিকত্বের আবেদন করেছিলেন কিংসলি। প্রয়োজনীয় যাচাই-বাছাই শেষে গত বছর শর্ত দেওয়া হয়, বাংলাদেশের নাগরিকত্ব পেতে হলে আগে বাতিল করতে হবে নাইজেরিয়ার নাগরিকত্ব। সে প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতেই গত বছর দলবদলের আগে নাইজেরিয়ায় ফিরে যান তিনি। কিন্তু সময়মতো ফিরে আসতে না পারায় শেষ পর্যন্ত আর খেলা হয়নি।
এখন স্থানীয় ফুটবলার হিসেবেই কিংসলিকে বসুন্ধরা কিংসে দেখা যাবে বলেই শোনা যাচ্ছে। আর যদি তাই হয়, কিংসের স্প্যানিশ কোচ অস্কার ব্রæজন তাকে কোন পজিশনে কিভাবে খেলান সেটাই দেখার বিষয়। তবে ইনজুরিতে না পড়লে স্বাভাবিক খেলা খেলতে পারলে কিংসলে মে’র শেষের দিকে জাতীয় দলের প্রাথমিক ক্যাম্পে ডাক পাওয়া সময়ের অপেক্ষা মাত্র বলে মনে করছেন ফুটবলসংশ্লিষ্টরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।