মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে ক্ষমতাসীন দল তৃণমূল কংগ্রেসের সাথে নির্বাচন কমিশনের বিতর্ক নতুন মাত্র পেয়েছে। বুধবার নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আহত হওয়ার পরে তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় অভিযোগ করেছিলেন, নির্বাচন কমিশন পুলিশ-প্রশাসনে রদবদল করার ফলেই মুখ্যমন্ত্রীর সফরে যথেষ্ট নিরাপত্তার ব্যবস্থা ছিল না। এর পিছনে ‘চক্রান্ত’ আছে। শুক্রবার নির্বাচন কমিশন সেই অভিযোগের কড়া উত্তর দিয়েছে। তিন পাতার চিঠিতে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, তৃণমূলের অভিযোগ ভিত্তিহীন। যদিও নির্বাচন কমিশনের সেই উত্তর পাওয়ার পরে ফের প্রতিবাদ জানিয়েছে তৃণমূল।
তৃণমূলের অভিযোগ ছিল, নির্বাচন কমিশন রাজ্য পুলিশের ডিরেক্টর জেনারেলকে সরিয়ে দেয়ার ফলেই নন্দীগ্রামের ঘটনা ঘটেছে। ভারতে কোনো রাজ্যে নির্বাচন ঘোষণা হওয়ার পরে নির্বাচন কমিশন সেই রাজ্যের প্রশাসনে হস্তক্ষেপ করতে পারে। পুলিশ এবং প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মকর্তার রদবদল তারা করে। পশ্চিমবঙ্গের এবারের নির্বাচনে কমিশন রাজ্যে পুলিশ অবজার্ভার নিয়োগ করেছে। সেই পুলিশ অবজার্ভারের নির্দেশেই রাজ্য পুলিশের ডিরেক্টর জেনারেলকে সরানো হয়েছিল।
কমিশন তার চিঠিতে জানিয়েছে, কমিশনের নির্দেশে ডিজিকে সরানো হলেও প্রশাসনিক কাজে কমিশন হস্তক্ষেপ করে না। অর্থাৎ, প্রশাসন চালায় রাজ্যই। ফলে তৃণমূলের অভিযোগ ভিত্তিহীন। তৃণমূল অভিযোগ করেছিল, নির্বাচন কমিশন কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশে কাজ করেছে। সেই অভিযোগেরও কড়া ভাষায় উত্তর দিয়েছে কমিশন। বলা হয়েছে, কমিশন কারো অঙ্গুলিহেলনে কাজ করে না।
রাজ্য সরকারের সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের এই ধরনের বিতর্ক নতুন নয়। এর আগেও বিভিন্ন রাজ্যে এ ধরনের বিতর্ক হয়েছে। যেহেতু কমিশন রাজ্য সরকারের বিভিন্ন কর্মকর্তাকে সরাতে পারে, তাই রাজ্য যে কোনো সমস্যায় কমিশনের দিকে আঙুল তোলে। কমিশন পাল্টা জানায়, নির্বাচন প্রক্রিয়া সুষ্ঠুভাবে চালানোর জন্যই তারা সে কাজ করেছে। রাজ্য প্রশাসনের কাজে হস্তক্ষেপ করা তাদের অভিপ্রায় নয়। তবে পশ্চিমবঙ্গে স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী আহত হওয়ায় বিষয়টি অন্য মাত্রা পেয়েছে।
কমিশনের এই চিঠি পাওয়ার আগেই বেশ কিছু তথ্য নিয়ে দিল্লিতে কমিশনের সদর দফতরে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিল তৃণমূল। দলের ছয় সদস্যের দল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ এবং পশ্চিমবঙ্গ যুব মোর্চার সভাপতি সৌমিত্র খাঁয়ের ভিডিও ফুটেজ নিয়ে পৌঁছে গিয়েছে নির্বাচন কমিশনে। তৃণমূলের অভিযোগ, প্রতিটি ফুটেজেই বলা হয়েছে, নন্দীগ্রামে গিয়ে মমতা আক্রান্ত হতে পারেন। বিজেপি অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। সূত্র: ডয়চে ভেলে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।