মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইসরাইল অধিকৃত ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন, হামাসের প্রধান হিসেবে দ্বিতীয় মেয়াদে পুনর্নির্বাচিত হয়েছেন ইয়াহিয়া আল-সিনওয়ার। গত বুধবার সংগঠনটির কর্মকর্তাদের বরাতে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, এ নিয়োগের মধ্য দিয়ে ফিলিস্তিন ভূখণ্ডে হামাসের রাজনৈতিক ও সামরিক শাখায় ইয়াহিয়া সিনওয়ারের নিয়ন্ত্রণ আরও স্পষ্ট হয়েছে। তিনি দুই দশকের বেশি সময় ইসরায়েলের কারাগারে বন্দী জীবন কাটিয়েছেন। খবর রয়টার্সের।
হামাস কর্মকর্তারা বলেছেন, সামরিক শাখা ইজ্জাদ্দিন কাসসাম ব্রিগেডের সিনিয়র কমান্ডার ইয়াহিয়া সিনওয়ার সংগঠনের গাজা দপ্তরের রাজনৈতিক প্রধান নির্বাচিত হয়েছেন। হামাসের অপর সিনিয়র নেতা খলিল আল-হাইয়া’কে সিনওয়ারের উপ-প্রধান হিসেবে নির্বাচিত করা হয়েছে।
সিনওয়ার হামাসের নেতা হিসেবে ইসমাইল হানিয়ার স্থলাভিষিক্ত হবেন। ২০০৭ সালের জুন মাসে ফিলিস্তিনে অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনে ইসমাইল হানিয়া প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন। তখন থেকে তার আন্দোলন গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণ করছে।
অনেকে মনে করছেন, ইসমাইল হানিয়া এবার হামাসের প্রবাসী রাজনৈতিক ব্যুরো প্রধান খালেদ মাশআলের স্থলাভিষিক্ত হবেন। কাতারের রাজধানী দোহায় হামাসের রাজনৈতিক সদর দপ্তর অবস্থিত।
৫৫ বছর বয়সি ইয়াহিয়া সিনওয়ার ইজ্জাদ্দিন কাসসাম ব্রিগেডের প্রতিষ্ঠাতা। তিনি ইহুদিবাদী ইসরাইলের বিরদ্ধে আপোষহীন সংগ্রামকারী হিসেবে পরিচিত। তেল আবিবের সঙ্গে যেকোনো ধরনের আপোষের বিরোধী তিনি।
১৯৮৮ সালে দখলদার ইসরাইল তাকে ধরে নিয়ে গিয়েছিল। ২০১১ সালের অক্টোবরে হামাসের হাতে আটক ইসরাইলি সেনা গিলাদ শালিতের মুক্তির বিনিময়ে যে ১,০০০ ফিলিস্তিনি মুক্তি পেয়েছিলেন তাদের সঙ্গে সিনওয়ার মুক্ত হয়ে গাজায় ফিরে আসেন।
ইসরায়েলের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের নীতির ঘোর বিরোধী ইয়াহিয়া সিনওয়ার। এরপরও গাজা সীমান্তে শান্তি বজায় রাখতে তাঁর অবদান অস্বীকার করার উপায় নেই। তবে মিসরের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার বিষয়ে সদা উচ্চকণ্ঠ সিনওয়ার।
গাজায় হামাসের প্রধান হওয়ার লড়াইয়ে সিনওয়ারের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন নিজার আওয়াদাল্লাহ। তিনিও দীর্ঘ সময় ইসরায়েলের কারাগারে বন্দী জীবন কাটিয়েছেন। ২০১১ সালে উভয় পক্ষের ঐতিহাসিক বন্দী বিনিময় চুক্তি বাস্তবায়নে তিনি সহ-আলোচক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এ চুক্তির অধীনে দীর্ঘ কারাবাস শেষে মুক্ত হয়ে গাজায় ফিরে আসেন সিনওয়ার।
এক বিবৃতিতে আওয়াদাল্লাহ বলেন, ‘লক্ষ্য অর্জন ও আন্দোলন এগিয়ে নিতে আমরা সব সময়ই তাঁর (সিনওয়ারের) পাশে আছি।’
হামাস এখন ইসরায়েল-নিয়ন্ত্রিত পশ্চিম তীরে সংগঠনের নেতা নির্বাচন করবে। যদিও নতুন এ নেতার পরিচয় এখনই প্রকাশ করা হবে না বলে সংগঠন সূত্রের বরাতে জানিয়েছে রয়টার্স। মূলত ইসরায়েলের কাছে তাঁর পরিচয় আপাতত গোপন রাখা হবে বলে জানানো হয়েছে। সূত্র : পার্সটুডে
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।