নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে নামকরণ হয়েছে এবারের বাংলাদেশ গেমসের। মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে দেশের সবচেয়ে বড় এ ক্রীড়াযজ্ঞের নবম আসর শুরু হবে জাতির পিতার জন্মস্থান গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া থেকেই। তবে কোনো খেলা নয়, টুঙ্গিপাড়া থেকে শুরু হবে বঙ্গবন্ধু নবম বাংলাদেশ গেমসের মশাল প্রজ্জ্বলন। টুঙ্গিপাড়ায় বাংলাদেশ গেমসের মশাল জ্বলবে ৩০ মার্চ দুপুর ১২টায়। এখানে মশাল প্রজ্জ্বলন করার কথা রয়েছে বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের (বিওএ) সভাপতি ও সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদের। টুঙ্গিপাড়া থেকে মশালটি বহন করে ঢাকায় নিয়ে আসবেন দেশের সাবেক ও বর্তমান তারকা ক্রীড়াবিদরা। মশালটি ৩১ মার্চ বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন (বিওএ) ভবনে থাকার পর ১ এপ্রিল তা নিয়ে আসা হবে গেমসের উদ্বোধনী ভেন্যু বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে। এখানে মশাল প্রজ্জ্বলন করবেন দেশসেরা গলফার সিদ্দিকুর রহমান ও ২০১৬ সাউথ এশিয়ান (এসএ) গেমসের স্বর্ণজয়ী সাঁতারু মাহফুজা খাতুন শিলা। এদিনই বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে জাতির পিতার নামে নবম বাংলাদেশ গেমসের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন ক্রীড়াবান্ধব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বিশ্বস্ত সুত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ গেমসের পুরো আয়োজনে নতুনত্ব আনার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে বিওএ। মশাল প্রজ্জ্বলন থেকে শুরু করে উদ্বোধনী ও সমাপনী অনুষ্ঠানে মনে রাখার মতো আয়োজন করতে চায় তারা। বাংলাদেশ গেমসের মশাল প্রজ্জ্বলনটা হবে ভিন্নধর্মী। সাধারণত যেকোনো গেমসের মশাল প্রজ্জ্বলন এবং মশাল নেভানোর কাজটি করে থাকেন সাবেক তারকা অ্যাথলেটরা। তখন দুই থেকে তিন সাবেক খেলোয়াড় মশাল বহন করেন। কিন্তু নবম বাংলাদেশ গেমসে মশাল বহন করবেন ১৫ থেকে ২০ জন সাবেক ক্রীড়াবিদ। ইতোমধ্যে দশম এসএ গেমসে এবং অন্যান্য আসরে যারা পদক জিতেছে তাদের একটা তালিকা তৈরি করেছে বিওএ। বিগত সময়ে যারা খেলেছেন এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছেন মূলত মশাল প্রজ্জ্বলনে তাদেরকেই অগ্রাধিকার দেয়া হবে। ব্যতিক্রম শুধু গলফার সিদ্দিকুর রহমান। বর্তমান খেলোয়াড় হিসেবে সিদ্দিক মশাল বহনে যুক্ত থাকবেন। মশাল ব্হনে যারা থাকছেন তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন-সাবেক ক্রিকেটার গাজী আশরাফ হোসেন লিপু, সাবেক তারকা ফুটবলার শেখ মো. আসলাম ও ইলিয়াস হোসেন, সাবেক অ্যাথলেট মিলজার হোসেন ও ফরহাদ জেসমিন লিটি, জাতীয় নারী হ্যান্ডবল দলের সাবেক অধিনায়ক ডালিয়া আক্তার, জাতীয় নারী কাবাডির সাবেক অধিনায়ক শাহনাজ পারভীন মালেকা, সাবেক পদকজয়ী আরচার ইমদাদুল হক মিলন, ২০১০ সাউথ এশিয়ান গেমসে স্বর্নজয়ী উশুকা ইতি ইসলাম ও মেসবাহ উদ্দিন. কারাতেকা জ উ গ্রু, সাবেক সোনাজয়ী শুটার আতিকুর রহমান, সোনাজয়ী সাঁতারু মাহফুজা খাতুন শিলা, সাবেক পদকজয়ী সাঁতারু শাহজাহান আলী রনি এবং বর্তমান খেলোয়াড় গলফার সিদ্দিকুর রহমান।
গেমস শুরুর দিন ১ এপ্রিল মশাল প্রজ্জ্বলনের পর ১০ এপ্রিল গেমসের সমাপনী দিন তা নেভাবেন দেশের সাবেক কোনো এক তারকা ক্রীড়াবিদ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।