নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
জেলার ফুটবল লিগ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) চারবারের সভাপতি কাজী মো. সালাউদ্দিন। চলতি বছরের প্রায় আড়াই মাসে এখন পর্যন্ত ১৩টি জেলা লিগ শেষ করতে পেরেছে। প্রাণঘাতি করোনাভাইরাসের কারণে খেলা শুরুর পরও তা স্থগিত করেছে চট্টগ্রাম ও বগুড়া। বর্তমানে লিগ চলছে তিন জেলায়। এ মাসের বাকি দিনগুলোতে ১২টি এবং আগামী মাসে ২টি, মে মাসে ৪টি এবং জুনে ১টি জেলায় খেলা শুরু হওয়ার কথা। অন্যদিকে লিগ শুরু নিয়ে এখন পর্যন্ত বাফুফেকে কোনো তথ্য দেয়নি ২০টি জেলা। আর নানা কারণে আটকে আছে ৭ জেলার খেলা। সব মিলিয়ে জেলা লিগের হ-য-ব-র-ল অবস্থা।
এমন অবস্থাতেই বুধবার দুপুরে মতিঝিলস্থ বাফুফে ভবনে জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের (ডিএফএ) কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক সভা করেন সালাউদ্দিন। তিনি নিজেই জেলা ফুটবল লিগ কমিটি’র চেয়ারম্যান। গত অক্টোবর মাসের শুরুতে চতুর্থবার নির্বাচনে জিতে বাফুফের এই স্ট্যান্ডিং কমিটির প্রধানের দায়িত্ব নিজ কাঁধে তুলে নিয়ে এ ক’মাসে জেলায় জেলায় কেবল হতাশার চিত্রই দেখেছেন কাজী সালাউদ্দিন। যে কারণে তিনি হতাশ। তাই তো বুধবার সভা শেষে সালাউদ্দিনের কন্ঠে বাঁজলো হতাশার সুরই। তিনি বলেন,‘জেলা লিগের চিত্র খুব একটা ভালো নয়। জেলাগুলো খেলার চেয়ে নির্বাচন নিয়েই বেশি ব্যস্ত থাকে। বিশেষ করে ফোরাম (বাংলাদেশ জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংগঠক পরিষদ) নির্বাচনের সময় বেশি সক্রিয় থাকলেও দেশের ফুটবল উন্নয়নে ভুমিকা রাখেনা। সব জেলার চিত্র অবশ্য এমন নয়। তবে বেশিরভাগ জেলা অকার্যকর। আমার বার্তা হলো ফুটবল গোটা দেশে হতে হবে। আপনারা যারা যেখানে আছেন, যারা যে দায়িত্ব নিয়েছেন আপনারা আপনাদের কর্তব্য করেন। আমরা আমাদের কর্তব্য করবো। সবাই যদি সবার কর্তব্য করি, তাইলেই কেবল ফুটবল এই দেশে হবে।’
বাফুফের সভাপতি যোগ করেন, ‘আমি দেখেছি কোনো কোনো ডিএফএ সভাপতি গণমাধ্যমে বক্তব্য দেন, তার জেলায় লিগ হয় না। আমার দিকে আঙুল তুলেই অভিযোগ করেন। কিন্তু সেই লিগ করা কিন্তু তাদেরই দায়িত্ব, বাফুফের নয়। ফিফা তো লিগ আয়োজনের জন্য আমাদের ১০০ টাকাও দেয় না।’
জেলার ফুটবল সংগঠকদের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলে সালাউদ্দিন আরও বলেন,‘ফেডারেশনের নির্বাচনের সময় ভোট নিয়ে সংগঠকদের যতটা আগ্রহ দেখা যায়, ফুটবল নিয়ে ততটা দেখা যায় না। আমি জেলার ফুটবল সংগঠকদের বলছি, আপনারা লিগ করেন। লিগ আয়োজন করে যদি জাতীয় দলে ফুটবলার পাঠান। যদি দেখি ৫ জন পেশাদার লিগে খেলছে এবং জাতীয় দলে নক করছে। তাহলে আপনাদের আমি হাতি দিয়ে সংবর্ধনা দেব। আমরা ফুটবল উন্নয়নের অংশ। তাই কেউ সক্রিয় থেকে ফুটবলার তৈরি করলে আমরা তাদের পাশে থাকবো।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।