বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
পটুয়াখালীর কুয়াকাটা-ঢাকা মহাসড়কের লেবুখালীর পাগলায় পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্কয়ারে প্রতিস্থাপিত ভেঙ্গে ফেলা যুদ্ধ বিমানটি আজ অপরাহ্নে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে।
গত ৬ ই মার্চ কুয়াকাটা - ঢাকা মহাসড়কে পটুয়াখালীর লেবুখালী ফেরিঘাট সংলগ্ন পাগলার মোড়ে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়েরর দিক চিহ্ন কাজে ব্যবহৃত ইউনিভার্সিটি স্কয়ারে প্রতিস্থাপিত যুদ্ধবিমানটি চলমান পায়রা সেতুর সংযোগ সড়কের এলাইনমেন্টের মধ্যে থাকায় সেতুর কাজে নিয়োজিত চায়নীজ ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান যেনতেন ভাবে অপসারণ করতে গিয়ে বিমানটিকে মারাত্মক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ করে সামনের অংশ দুমড়ে মুচড়ে ফেলে।
এদিকে ইউনিভার্সিটি স্কয়ারে প্রতিস্থাপিত পুরানো যুদ্ধবিমানটি ভেঙে ফেলায় নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও স্থানীয়রা,এ নিয়ে সংবাদ প্রকাশ পায় প্রচার মাধ্যমে।পরবর্তীতে গত ৭ মার্চ পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত ভিসি সহ বিমান বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ সময়তারা জানান,যুদ্ধ বিমানটি সংস্কার পূর্বক পুন: স্থাপন করার সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের লক্ষে বিমানবাহিনীর ৩ সদস্যের টিম কাজহ শুরু করবে।
গত শনিবার (৬ মার্চ) দুপুরে পায়রা সেতুর অ্যাপ্রোচ সড়ক নির্মাণের জন্য স্মারক যুদ্ধবিমান সম্বলিত বিশ্ববিদ্যালয় নির্দেশক স্তম্ভটি ভেঙে ফেলার পরে লেবুখালী সেতুর প্রকল্প পরিচালক মোঃ আব্দুল হালিম জানান, লেবুখালি নদীতে নির্মাণাধীন পায়রা সেতু পটুয়াখালী প্রান্তের এপ্রোচ সড়কের নির্মাণের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কয়ারে প্রতিস্থাপিত স্মারক যুদ্ধবিমানটি সরানোর জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে অক্টোবর মাস থেকে একাধিক চিঠি দেয়া সহ, পটুয়াখালী সড়ক জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী বিশ্ববিদ্যালয় ভিসির সাথে দেখা করেছেন আমিও বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন ভিসির সাথে ৩ বার কথা বলেছি,কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কোনো পদ:ক্ষেপ না নেওয়ায় সড়কের নির্মাণ করতে যেয়ে ঠিকাদারি কাজের নিয়োজিত লোকজন বিমানটি সরাতে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
পায়রা সেতু কর্তৃপক্ষের ডিপিএম কামরুল জানান,এফ-৬ (ডিস্কারডেট)বিমানটি সড়াতে গিয়ে চাইনিজ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজটি সঠিকভাবে করতে পারেনি।
পবিপ্রবি'র দায়িত্বপ্রাপ্ত উপাচার্য ও রেজিষ্ট্রার অধ্যাপক ড.স্বদেশ চন্দ্র সামন্ত জানান, বিশ্ববিদ্যালয় স্কোয়ারে প্রতিস্থাপিত যুদ্ধবিমানটি সরানোর জন্য নির্দিষ্ট সময় দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েছিলেন। স্থাপনাটি অপসারণের ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব সক্ষমতা না থাকায় আমরা এ বিষয়ে বিমান বাহিনীর সদর দপ্তরে চিঠি দিয়েছিলাম কিন্তু তাতে কোন অগ্রগতি হয়নি। তাছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে না জানিয়েই হঠাৎ করে নির্দেশক স্তম্ভটি ভেঙে ফেলায় তাৎক্ষণিক কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
এদিকে আজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত ভিসি স্বদেশ স্বামন্ত বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ক্রেনের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত স্মারক পুরাতন যুদ্ধবিমানটি বড় টেইলরে করে নিয়ে আসা হয়েছে। যদি এটা মেরামত করা যায় তবে ভাল, না হলে আমরা বিমান বাহিনীর কাছে আর একটা চাইবো।আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিনকাউন্সিল, শিক্ষক ও ছাত্র প্রতিনিধিদের সমন্বয় সভা করে বর্তমানে এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষিকুঞ্জের সামনে টেনিস গ্রাউন্ডের নিরাপদ স্থানে রাখা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ২০০৪ সালে পুরানো ঐ বিমানটি লেবুখালীর পাগলার মোড়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের দিক চিহ্ন নির্দেশনা চিহ্নিত করে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্কয়ার নামে অভিহিত করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।