বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
শেখ মুজিবের জন্ম শতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে সবুজ বিপ্লবের স্বপ্নদ্রষ্টা জাতির জনকের মুখচ্ছবি বিশাল শস্যক্ষেত্র জুড়ে ফুটিয়ে তোলার কার্যক্রম সরেজমিনে দেখতে এসে শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন , বঙ্গবন্ধু ছিলেন সত্যিকার অর্থেই কৃষি বান্ধব রাজনীতিবিদ । তিনি ছিলেন কৃষকের অকৃত্রিম বন্ধু । তাই তার অমর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে বগুড়ায় ১২০ বিঘা জমিতে তার মুখচ্ছবি ফুটিয়ে তোলার একটি নান্দনিক কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে যা গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে অন্তর্ভুক্ত হবে । জাতি এখন অধির আগ্রহে তার জন্য অপেক্ষায় আছে ।’
বাহাউদ্দিন নাছিমের সফর সঙ্গী হিসেবে স্বেচ্ছা সেবকলীগের সভাপতি সমীর চন্দ ,সাধারণ সম্পাদক উম্মে কুরসুম স্মৃতি, সহ-সভাপতি ম. আব্দুর রাজ্জাক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন ।
এদিকে মঙ্গলবার দুপুরে বাহাউদ্দিন নাসিম তার সফরসঙ্গীদের আগমনের সংবাদ মিডিয়ায় প্রচার হওয়ায় বগুড়া, শেরপুর, ধুনট, সারিযাকান্দি ও পার্শবর্তী সিরাজগঞ্জ জেলা থেকে শত শত দলীয় নেতা কর্মীরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। পুলিশ ও স্থানীয় সিভিল প্রশাসনের লোকজন উপস্থিত হলে এলাকাটি লোকে লোকারণ্য হয়ে পড়ে, তৈরি হয় উৎসবের আমেজ। সেখানে উপস্থিত স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব হাবিবর রহমান বলেন, এত বিশাল ক্যানভাসে উন্মুক্ত শস্য চিত্রে জাতির জনকের প্রতিকৃতি ফুটিয়ে তোলার ঘটনাটি তার নির্বাচনী এলাকায় হওয়ায় আনন্দিত ও গর্বিত বোধ করছেন ।
একই ধরনের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ জানান, তাঁর এলাকাটি ঐতিহাসিক ভবানীপুর মন্দিরের কারণে পরিচিত ছিল। এখন বঙ্গবন্ধুর শস্যচিত্রের প্রতিকৃতির কারণেও এলাকার গুরুত্ব বৃদ্ধি পাবে জেনে ভালোই লাগছে ।
বগুড়া জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আসাদুর রহমান দুলু বলেন, বিস্ময়কর এই শস্যচিত্র সরাসরি দেখার জন্য এই গভীর পল্লীতে প্রতিদিন শতশত বহিরাগত মানুষের যাতায়াত হচ্ছে। আশেপাশে গড়ে উঠেছে অস্থায়ী দোকান পাট। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত নামছে মানুষের ঢল যেটা জাতির জনকের প্রতি মানুষের ভালবাসার এক ধরনের বহিঃপ্রকাশও বটে ।
উল্লেখ্য গত ২৯ জানুয়ারী আওয়ামীলীগ জাতীয় কমিটির প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবীর নানক আনুষ্ঠানিকভাবে গাঢ় বেগুনি ও সবুজ রঙের ধানের চারা রোপণের মাধ্যমে প্রকল্পটির উদ্বোধন করেন। ইতোমধ্যেই ১২০ বিঘা জমিতে ওই রোপিত চারা বড় হয়ে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে বঙ্গবন্ধুর মুখচ্ছবি। ইতোমধ্যেই গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড কর্তৃপক্ষের হয়ে ড. এমদাদুল হক ও ড.কামালুদ্দিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। আশা করা হচ্ছে তাদের রিপোর্টের ভিত্তিতে পক্ষকালের মধ্যেই এটি গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ডে রেকর্ড হয়ে যাবে বলে নিশ্চিত করেছেন শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব কে এস এম মুস্তাফিজুর রহমান ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।