প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
প্রথমে কিছুটা জটিলতা দেখা দিলেও অবশেষে রাজধানীর বনানী কবরস্থানেই চিত্রনায়ক শাহীন আলমকে দাফন করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টায় তার দাফন সম্পন্ন হয়। এ সময় চিত্রনায়ক ওমর সানি সহ চলচ্চিত্রের বেশ কয়েকজন এবং শাহীন আলমের পরিবাবের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে বাদ ফজর নিকেতন মসজিদে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট কাউকে দেখা যায়নি।
জানা গেছে, সকালে বনানী কবরস্থানে শাহীন আলমের মরদেহ দাফন করতে এসে চরম বিপাকে পড়েন তার ছেলে ফাহিম আলম। অসহায়ের মতো কবরস্থানের সামনে বাবার মরদেহ নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন তিনি। গণমাধ্যমকে ফাহিম বলেন, ‘আমার বাবার লাশ বনানী কবরস্থানে দাফনের জন্য নিয়ে এসেছি। এখানে আমার চাচার কবরের স্থানে বাবার মরদেহ দাফনের কথা ছিলো। কিন্তু কবর কমিটির লোকেরা তাতে বাধা দেয়। তাদের বক্তব্য, মেয়রের অনুমতি নিয়ে সেখানে দাফন করতে হবে।’
আরো জানা যায় এ বিষয়ে চিত্রনায়ক ওমর সানী, মিশা সওদাগর ও জায়েদের সঙ্গে যোগাযোগ করলেও তারা কোনো সহযোগিতা করেননি। এতে শাহীন আলমের ছেলে চরম অসহায়ের মতো কবরস্থানের পাশে সময় অতিবাহিত করছেন। যদিও এর আগে নিজেদের ফেসবুকে ছবি শেয়ার করে আবেগঘন স্ট্যাটাস দেন ওমর সানী, জায়েদ খান ও মিশা সওদাগর।
উল্লেখ্য গতকাল (সোমবার) রাত ১০টা ৫ মিনিটে রাজধানীর আজগর আলী হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় মারা যান শাহীন আলম।
শুরুতে মঞ্চে অভিনয় করতেন ঢাকায় বেড়ে ওঠা শাহীন আলম। ‘নতুন মুখের সন্ধানে’ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে ১৯৮৬ সালে সিনেমায় পা রাখেন তিনি। ১৯৯১ সালে শাহীন অভিনীত ‘মায়ের কান্না’ সিনেমাটি মুক্তির পর নজরে আসেন তিনি। একসঙ্গে সাতটি সিনেমায় চুক্তিবদ্ধ হন শাহীন। এরপর দেড় শতাধিক সিনেমায় অভিনয় করেছেন এ অভিনেতা।
শাহীন আলম অভিনীত সিনেমাগুলোর মধ্যে ‘ঘাটের মাঝি’, ‘এক পলকে’, ‘প্রেম দিওয়ানা’, ‘চাঁদাবাজ’, ‘প্রেম প্রতিশোধ’, ‘টাইগার’, ‘রাগ-অনুরাগ’, ‘দাগি সন্তান’, ‘বাঘা-বাঘিনী’, ‘স্বপ্নের নায়ক’, ‘আরিফ লায়লা’, ‘গরিবের সংসার’, ‘দেশদ্রোহী’, ‘আঞ্জুমান’, ‘অজানা শত্রু’, ‘আমার মা’, ‘পাগলা বাবুল’, ‘তেজী’, ‘শক্তির লড়াই’, ‘দলপতি’, ‘পাপী সন্তান’, ‘ঢাকাইয়া মাস্তান’, ‘বিগবস’, ‘বাবা’, ‘বাঘের বাচ্চা’, ‘বিদ্রোহী সালাউদ্দিন’, ‘তেজী পুরুষ’ ইত্যাদি অন্যতম।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।