মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
সিরীয় শরণার্থী শিশু আয়লান কুর্দির করুণ মৃত্যুতে চোখে পানি আসেনি এমন মানুষ পৃথিবীতে বিরল। ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে তুরস্কের উপকূলে সাগরপাড়ে মুখ থুবড়ে পড়ে থাকা ছোট্ট আয়লানের লাশটি দেখে হৃদয় কেঁদেছিল সবার। ওইদিন আয়লানের সঙ্গে তার মা-ভাইসহ আরও অন্তত ১১ জন মারা যায়।
ছবিতে সমুদ্রসৈকতে লাল জামা গায়ে যে তিন বছরের ছোট শিশুর নিথর দেহ উপুড় হয়ে পড়ে ছিল, তার নাম আয়লান কুর্দি। গোটা বিশ্বের বিবেকবান মানুষকে প্রচণ্ডভাবে নাড়া দিয়েছিল ছবিটি।
যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়া থেকে পালাতে গিয়ে পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে ডুবে মারা যায় ছোট্ট শিশু আয়লান। ইরাকে সফররত পোপ ফ্রান্সিস সেই শিশুটির বাবা আব্দুল্লাহ কুর্দির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। গতকাল রোববার ইরাকের ইরবিল শহরে আয়লান কুর্দির বাবার সঙ্গে অনেকক্ষণ কথা বলেন। পোপ একজন দোভাষির মাধ্যমে তার কথা মনোযোগ দিয়ে শুনেন এবং ভূমধ্যসাগরের পরিবারের সদস্যদের করুণ পরিণতির জন্য গভীর সমবেদনা জানান।
এ সময় আব্দুল্লাহ কুর্দি পোপকে তার ছেলে আয়লান কুর্দির বিশ্বে ভাইরাল হওয়া সেই ছবিটির একটি পোট্রেট উপহার দেন এবং তার কথা মনোযোগ দিয়ে শোনার জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
তুরস্কের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা আনাদোলু জানিয়েছে, আয়লানদের মৃত্যুর ঘটনায় তুরস্ক ও সিরিয়ার একাধিক পাচারকারী চক্র জড়িত ছিল। তাদের অনেককেই করে সাজা দেয়া হয়েছে এবং তিনজনকে ১২৫ করে কারাদণ্ড দেন বদ্রাম হাই ক্রিমিনাল কোর্টের বিচারক।
জানা যায়, আয়লানের পরিবার সিরিয়ার কোবানে শহরে থাকতো। সেখানে আইএস জঙ্গিদের সঙ্গে সরকারি বাহিনীর লড়াই শুরু হওয়ার পর তারা পালিয়ে তুরস্কে যায়। সেখান থেকে কানাডায় রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা করলে কর্তৃপক্ষ তাদের আবেদন নাকচ করে দেয়। এরপর তারা তুরস্ক থেকে গ্রিসে যাওয়ার চেষ্টা করে।
ছোট্ট আয়লানও তার পরিবারের সঙ্গে গ্রিস যাচ্ছিল। কিন্তু তাদের বহনকারী নৌকাটি সাগরে ডুবে তিন বছর বয়সী আয়লান, তার পাঁচ বছর বয়সী ভাই এবং মায়ের মৃত্যু হয়। তবে সৌভাগ্যক্রমে ওই দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে যান আয়লানের বাবা। এ ঘটনায় নৌকার ১৬ আরোহীর মধ্যে ১২ জনই মারা যান।
পরে আয়লানের মরদেহ ভেসে ওঠে তুরস্কের সমুদ্র সৈকতে। সেসময় লাল জামা গায়ে তার নিথর দেহ উপুড় হয়ে পড়ে থাকার দৃশ্য যেন হয়ে উঠেছিল বিশ্বব্যাপী চলমান শরণার্থী সংকটের প্রতিচ্ছবি। সূত্র : আল জাজিরা
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।