নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
দুই অর্ধে গোল পেল শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। আর ম্যাচজুড়ে কেবল সুযোগ নষ্টই করল মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। তাদের হারিয়ে প্রিমিয়ার লিগে জয়ে ফিরল শফিকুল ইসলাম মানিকের দল। গতকাল বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে গতকাল ২-০ গোলে জিতেছে শেখ জামাল। নিষেধাজ্ঞার কারণে এদিন শেখ জামালের আক্রমণভাগে ছিলেন না গাম্বিয়ান ফরোয়ার্ড সুলাইমান সিল্লাহ। ফলে ১২ গোল নিয়ে রবসন দি সিলভা রবিনিয়োর সঙ্গে যৌথভাবে সর্বোচ্চ গোলদাতার আসনে থাকা ওমর জোবে পাননি যোগ্য সঙ্গ।
ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটেই এগিয়ে যেতে পারত আগের ম্যাচে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্রকে হারিয়ে আসা মোহামেডান। বক্সের একটু ওপর থেকে নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড আবিওলা নুরাতের কোনাকুনি শট লাফিয়ে ফিস্ট করে ফেরান গোলরক্ষক সামিউল ইসলাম মাসুম। চতুর্থ মিনিটে বোঝাপড়ার ভুলে গোল খেতে বসেছিল মোহামেডান। মোহাম্মদ আতিকুজ্জামানের ব্যাক পাস নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার জন্য প্রস্তুত ছিলেন না গোলরক্ষক আহসান হাবিব বিপু। বল ছুটছিল গোলের দিকে। শেষ মুহ‚র্তে ছুটে গিয়ে কর্নারের বিনিময়ে ফেরান তিনি।
২০তম মিনিটে সুলেমানে দিয়াবাতের সাইড ভলি ডি-বক্সে রেজাউল করিমের হাতে লাগলে পেনাল্টির জোরালো আবেদন করে মোহামেডান। কিন্তু রেফারির সাড়া মেলেনি। এর পাঁচ মিনিট বাদেই এগিয়ে যায় আগের ম্যাচে রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস অ্যান্ড সোসাইটির বিপক্ষে ড্র করা শেখ জামাল। কড়া পাহারায় থাকা দুই ডিফেন্ডারের ফাঁক গলে ওমর জোবে কাট ব্যাক করেন ভালিজনভ ওতাবেকের উদ্দেশে। ঠান্ডা মাথায় ডান পায়ের বাঁকানো শটে বিপুকে পরাস্ত করেন উজবেকিস্তানের এই ফরোয়ার্ড।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ব্যবধান দ্বিগুণের দুটি ভালো সুযোগ নষ্ট হয় শেখ জামালের। মোহামেডানের ডিফেন্ডার কামরুর ইসলামের কাছ থেকে বল কেড়ে নিয়ে জাহিদ হোসেনের আড়াআড়ি ক্রসে মাথা ছোঁয়াতে পারেননি ওমর জোবে। ৪৭তম মিনিটে ওতাবেকের শট আটকান বিপু। ৫৪তম মিনিটে বাঁ দিক থেকে নুরাতের ক্রসে দ‚রের পোস্টে থাকা আমির হাকিম বাপ্পীর ডাইভিং হেড পোস্টের বাইরে যায়। সমতায় ফেরা গোলের অপেক্ষা বাড়ে মোহামেডানের। ৬৩তম মিনিটে আবারও হতাশ হতে হয় দলটিকে। বাঁ দিক থেকে কামরুলের ক্রস মাসুম ফিস্ট করার পর ছোট ডি’র সামনে পেয়ে যান অনিক হোসেন। কিন্তু ভারসাম্য হারিয়ে বুটের তলা দিয়ে ঠিকঠাক টোকা দিতে পারেননি এই মিডফিল্ডার।
মোহামেডানের ঘুরে দাঁড়ানোর পথটা আরও কঠিন হয়ে যায় ৮৩তম মিনিটে। বাঁ দিক থেকে ওমর জোবের ক্রস প্রথম ছোঁয়ায় নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ডান পায়ের জোরালো কোনাকুনি শটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন সলোমন কিং।
১২ ম্যাচ শেষে সাত জয় ও পাঁচ ড্রয়ে ২৬ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে উঠেছে লিগের ২০১৪-১৫ মৌসুমের চ্যাম্পিয়নরা। ১৯ পয়েন্ট নিয়ে ষষ্ঠ স্থানে মোহামেডান। সমান ১২ ম্যাচে ২৫ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে নেমে গেছে আবাহনী লিমিটেড। ৩৪ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রয়েছে বসুন্ধরা কিংস।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।