রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
তিনটি সেতুর অভাবে ৪৫ বছর ধরে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে ঘিওরের বানিয়াজুরি-বাঠুইমুড়ি এলাকার ২০ গ্রামের মানুষ। ৫ কিলোমিটার রাস্তার বেড়িবাঁধে মাত্র তিনটি সেতু নির্মাণ হলেই লাখো মানুষের ভোগান্তি দূর হয়ে যায়। কিন্ত প্রদীপের নিচে অন্ধকার বলে কথা। মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার বানিয়াজুরী-বাঠুইমুড়ি বেড়িবাঁধের এই বেহাল দশা চলছে। একটু বৃষ্টি, কাদা আর বর্ষা-বন্যায় সাধারণ মানুষের দুর্ভোগের সীমা থাকে না। কর্তৃপক্ষের আশ্বাসের বাণীতে কেটে যাচ্ছে যুগের পর যুগ। সেতু তিনটি নির্মাণ হলে মানিকগঞ্জের কয়েকটি উপজেলার লাখো মানুষের দুর্ভোগ লাঘব হবে।
সরেজমিনে দেখা যায়, ঘিওর উপজেলার বানিয়াজুরী-বাঠুইমুড়ির ৫ কিলোমিটার বেড়িবাঁধের এই দীর্ঘ পথে নেই কোন পাকা সেতু। তাই বর্ষায় বাঁশ ও কাঠের তৈরি সাকোর ওপর দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ২০ গ্রামের হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করতে হয়। বেড়িবাঁধের তাড়াইল, নয়াচর ও বানিয়াজুরী অংশে তিনটি জায়গায় পানি প্রবাহের জন্য পথ রাখা হলেও দীর্ঘ ৪৫ বছরেও সেখানে কোন পাকা সেতু নির্মাণ করা হয়নি। ফলে বছরের প্রায় ৬ মাস ওই তিনটি স্থানে পানিতে ভরপুর থাকে। বর্ষা মৌসুমে বাঁশের সেতু আর না হয় নৌকায় খেয়া পাড়াপার হতে হয়। অথচ বেড়িবাঁধের এই ৫ কিলোমিটার পথে তিনটি সেতু নির্মাণ করা হলে জেলার হরিরামপুর, ঘিওর, দৌলতপুর, শিবালয় ও মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার সাথে যোগাযোগ সহজ হতো।
তাড়াইল গ্রামের মো.বাহাদুর খান জানান, প্রায় ৪৫ বছর ধরে সেতু তিনটি নির্মাণের আশ্বাসের বাণী শুনে আসছি। এখনো সেতু পায়নি। তবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন চলতি অর্থ বছরেই সেতু তিনটি নির্মাণ হবে।
তাড়াইলের চায়ের দোকানদার রাজু খান বলেন, এক সময় জেলার ঐহিত্যবাহী ঝিটকা হাটে যাতায়াতের অন্যতম রাস্তা ছিল বানিয়াজুরী-বাঠুইমুড়ি বেড়িবাঁধটি। বিশেষ করে ঘিওর, দৌলতপুর, শিবালয় এমনকি অন্যসব জেলার হাজার হাজার মানুষজন এই বেড়িবাঁধ ব্যবহার করে ঝিটকাহাটে বিকিকিনির জন্য আসা যাওয়া করতো। কিন্ত বেড়িবাঁধের যোগাযোগ ব্যবস্থা এতোই নাজুক হয়ে পড়েছে, যার ফলে সামান্য বৃষ্টি হলেই অচল হয়ে পড়ে মানুষের যাতায়াত।
চয়াচর গ্রামের আলিমুদ্দিন মাস্টার বলেন, বর্ষার সময় বাধের তাড়াইল, নয়াচর ও বানিয়াজুরী অংশের পানি প্রবাহের তিনটি জায়গা পানিতে ভরপুর থাকায় প্রায় ৬ মাস মানুষের দুর্ভোগের সীমা থাকে না। প্রায় ২০ গ্রামের মানুষ চরম দুর্ভোগে আছি। তিনটি সেতু নির্মাণ করা হলে হাজার হাজার মানুষের দুর্ভোগ থাকবে না।
ঘিওর উপজেলা এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সাজ্জাকুর রহমান বলেন, বানিয়াজুরী-বাঠুইমুড়ি বেড়িবাঁধে তিনটি সেতুর অনুমোদন আমরা পেয়েছি। সয়েল টেস্ট করার পর ডিজাইন ও সেতু নির্মাণের বাজেট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। আশা করি তাড়াতাড়ি সেতু তিনটির নির্মাণ কার্যক্রম শেষ করতে পারবো।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।