Inqilab Logo

সোমবার ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে উত্তাল মিয়ানমার, একাত্মতায় সিডনীতেও বিক্ষোভ

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৬ মার্চ, ২০২১, ৮:০৭ পিএম | আপডেট : ১১:১৮ পিএম, ৬ মার্চ, ২০২১

সেনা অভ্যূত্থানের পর থেকে মিয়ানমারে ইন্টারনেট বিচ্ছিন্ন, রাতভর অভিযান, গ্রেপ্তার, রাজপথে নিরাপত্তা বাহিনীর সহিংসতার মুখেই বিক্ষোভ অব্যাহত রেখেছেন দেশটির নাগরিকরা। বিক্ষোভে এ পর্যন্ত ৫৫জন প্রাণ হারিয়েছেন। নিহতদের ‘ফলেন হিরোস’ সম্বোধন করে ছাত্র, বৌদ্ধ ভিক্ষু, নারী, চিকিৎসক, স্বাস্থকর্মী, সরকারী চাকুরীজীবী এমনকি কিছু পুলিশ কর্মকর্তা সামরিক সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে অংশ নিয়েছেন। -বিবিসি, এপি, দ্য গার্ডিয়ান

মিয়ানমারের বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে একাত্মতা জানিয়ে অস্ট্রেলিয়ার সিডনীতে শনিবার শতশত মানুষ জড়ো হয়েছেন। তারা অস্ট্রেলিয়ার সরকারকে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে আহ্বান জানিয়েছেন। এদিকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের থেকে জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে আরো কঠোর প্রতিক্রিয়া দাবী করছেন মিয়ানমারের বিক্ষোভারীরা। এক বিক্ষোভকারীর প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিলো, ‘পদক্ষেপ নিতে জাতিসংঘের আর কত লাশ প্রয়োজন হবে?’

সরকারী কর্মকর্তারা বলছেন, তারা জান্তা সরকার নয়, জনগণের জন্য কাজ করবেন। বেশ কয়েকজন মিয়ানমারের পুলিশ ভারতের প্রবেশ করে রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়েছেন। শনিবার ভারতের কাছে তাদের ফেরত চেয়ে মিয়ানমারের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়। বিক্ষোভ ঠেকাতে নিরস্ত্র জনগণের ওপর প্রকাশ্যে রাস্তায় গুলি নিক্ষেপ করেছে পুলিশ। ব্যবহার করা হয়েছে রাবার বুলেট, স্টান গ্রেনেড, জলকামান, টিয়ার গ্যাস, স্মোক বোমসহ নানা ধরনের আধুনিক গোলাবারুদ। ইয়াঙ্গুনসহ শহরের আশপাশের এলাকার ঘরে ঘরে এখন বারুদের গন্ধ। শিশুরা টিয়ার গ্যাস ও বারুদের গন্ধে অসুস্থ হয়ে পড়ছে।

সামরিক জান্তা সরকারের সর্বোচ্চ কঠোর অবস্থানের মধ্যেই বিক্ষোভকারীরা আন্দোলনের নানা উপায় বের করছেন। অনেক বিক্ষোভকারী ঐতিহ্যবাহী সারঙ পরে রাজপথে অভ্যুত্থান বিরোধী স্লোগান দিচ্ছেন। মিয়ানমারে এই পোশাক পরিহিত ব্যক্তির শরীরের আঘাত করা নিয়ে কুসংষ্কার রয়েছে। বিক্ষোভকারিরা বালির খালি ব্যাগ, ফেলে দেওয়া জিনিসপত্র দিয়ে ব্যারিকেড তৈরি করছেন। তরুণরা রাস্তায় ‘গণতন্ত্র চাই, অভ্যুত্থান প্রত্যাখ্যান’ করুণ স্লোগান লিখছেন। রাতে নিরাপত্তা বাহিনী এগুলো মুছে ফেললেও পরদিন তারা একই কাজ করছেন। সাধারণ মানুষ আন্দোলন উজ্জীবিত রাখতে রাতের বেলা বারান্দা থেকে থালা-বাটি বাজাচ্ছেন, অভ্যুত্থান বিরোধী গান গাইছেন ও গণতন্ত্রপন্থী স্লোগান দিচ্ছেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মিয়ানমার


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ