মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
বর্তমানে মিয়ানমানজুড়ে চলছে ব্যাপক বিক্ষোভ। গত ১ ফেব্রুয়ারি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করে দেশটির সেনাবাহিনী। গৃহবন্দি করা হয় ক্ষমতাসীন দলের নেতা অং সান সু চি ও প্রেসিডেন্ট উইন মিন্টকে। এরপর থেকেই রাস্তায় নেমে এসেছে দেশটির সাধারণ জনগণ। তারা রাজপথে অভুত্থানবিরোধী কঠোর আন্দোলন গড়ে তুলেছে। ইতোমধ্যে আন্দোলনকারীদের ওপর চড়াও হয়েছে দেশটির আইনশঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তাদের গুলিতে এরই মধ্যে ৫০ জনের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে দেশটিতে।
এই অবস্থায় সেনা-পুলিশ ঠেকাতে অভিনব কৌশল বেছে নিয়েছেন মিয়ানমারের নারীরা। সেনা ও পুলিশের গতিরোধে পথে পথে বসিয়েছেন ব্যারিকেড। আর তাতে ব্যবহৃত হচ্ছে নারীদের পরনের লুঙ্গি-অন্তর্বাস!
লুঙ্গি মিয়ানমারের নারীদের ঐতিহ্যবাহী পোশাক। চলমান আন্দোলনে সেনা ও পুলিশের অস্ত্রের বিরুদ্ধে লুঙ্গি ব্যবহার করা হচ্ছে। লুঙ্গির সঙ্গে পথের ব্যারিকেডে শোভা পাচ্ছে নারীদের স্কার্ট, পাজামাসহ রংবেরঙের নানান পোশাক। মূলত শরীরের নিচের অংশে ব্যবহার হওয়া পোশাক ব্যারিকেডে ব্যবহার হচ্ছে। সেনা চলাচলের পথগুলোয় আড়াআড়ি রশি বেঁধে সেখানে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে এসব পোশাক। এমনকি পথের মধ্যে ফেলে রাখা হয়েছে নারীদের পোশাক। এতে কাজও হচ্ছে। অনেক এলাকা মাড়াচ্ছেন না নিরাপত্তা বাহিনীর লোকজন।
মিয়ানমারের লোকজন বিশ্বাস করেন নারীদের ঝুলন্ত পোশাকের নিচ দিয়ে যাওয়াটা তাদের পৌরুষত্বের জন্য অবমাননাকর। এতে তাদের পৌরুষের গর্ব ভূলুণ্ঠিত হবে। মূলত এ কারণে রাজপথে নারীদের লুঙ্গি ব্যারিকেডের নিচ দিয়ে যেতে চাইছে না সেনা-পুলিশরা।
মিয়ানমারের নাগরিক থিনজার সুন লেই বলেন, সামরিক সরকারের বিরুদ্ধে মিয়ানমারের নারীদের এটি একটি রক্ষণাত্মক কৌশল হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।
মিয়ানমারে সামরিক সরকারকে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থেকে হটাতে দেশটির বিভিন্ন এলাকায় আন্দোলন করছেন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ। আন্দোলন করতে গিয়ে সেনাবাহিনীর বুলেটে মানুষের মৃত্যু হলেও পিছু হটেনি জনগণ। আন্দোলনের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করছে। অন্যদিকে বিক্ষোভ দমাতে প্রতিদিন গুলি ছুড়ছে সেনাবাহিনী। এতে এ পর্যন্ত নিহত হয়েছেন অর্ধশতাধিক মানুষ। সূত্র : এএফপি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।