মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
জাতিসংঘের একটি প্রতিবেদনে জানা গেছে প্রতি বছর মানুষ প্রায় ১০০ কোটি টন খাবার অপচয় করছে। এই প্রবণতা এতটাই বেড়েছে যে তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ। পূর্বাভাসের চেয়ে এই অপচয়ের পরিমাণ প্রায় দ্বিগুণ। জাতিসংঘের প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বজুড়ে বাড়িতে একজন ব্যক্তির বছরে খাবার অপচয়ের পরিমাণ গড়ে ৭৪ কেজি। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান এ তথ্য জানিয়েছে।
এতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, মোট খাবার অপচয়ের ১৭ শতাংশ হয় রেস্তোরাঁ ও দোকানে। কিছু খাবার নষ্ট হয় কারখানা ও সাপ্লাই চেইনে। এর অর্থ হলো মোট খাবারের এক-তৃতীয়াংশ কখনো খাওয়াই হয় না। যুক্তরাজ্যের প্রতিটি বাড়িতে অপচয় করা হয় প্রতি সপ্তাহে আট বেলার খাবার।
খাবারের অপচয়ের ফলে কয়েক কোটি ক্ষুধার্ত বা স্বাস্থ্য সম্মত খাবার না পাওয়া মানুষদের সহযোগিতার উদ্যোগকে ব্যাহত করে। শুধু তাই নয়, এতে পরিবেশের ক্ষতিও হয়। খাবারের অপচয় ও নষ্ট কার্বন নির্গমনে ভূমিকা রাখে।
জাতিসংঘের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যদি খাবারের অপচয় একটি দেশ হতো তাহলে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের পর তৃতীয় সর্বোচ্চ কার্বন নির্গমনকারী দেশ হতো। কিন্তু গবেষকরা বলছেন, খাবারের অপচয় কমিয়ে আনা মানুষের জন্য জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব কমিয়ে আনার সবচেয়ে সহজ সুযোগ। এরপরও এই সুযোগে দুর্ভাগ্যজনকভাবে কাজে লাগানো হচ্ছে না।
সাধারণভাবে মনে করা হয়, খাবারের অপচয় সমস্যা ধনী দেশগুলোতে বেশি প্রভাব ফেলছে। কিন্তু জাতিসংঘের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, অবাক করার মতো বিষয় হলো সব দেশেই পরিস্থিতি প্রায় একই রকম। দরিদ্র দেশগুলোর তথ্য আতঙ্কজনক।
গবেষকরা বলছেন, কোনও মানুষই ফেলে দেওয়ার জন্য কিনে না। প্রতিদিন অল্প করে খাবারের অপচয় তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে হয় না। ফলে খাবারের অপচয় রোধে মানুষের সচেতনতা বৃদ্ধিই মূল চাবিকাঠি। এক্ষেত্রে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ অপচয়কৃত খাবার সংগ্রহও করতে পারে। সূত্র : দি গার্ডিয়ান
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।