Inqilab Logo

শুক্রবার ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মিয়ানমারের আরো ১৬ পুলিশের ভারতে আশ্রয় প্রার্থনা

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৫ মার্চ, ২০২১, ১০:৪২ এএম

মিয়ানমারের অন্তত আরো ১৬ পুলিশ সদস্য সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে প্রবেশ করেছে। মিজোরামের চাম্পাই ও সারচিপ জেলার সীমান্ত দিয়ে প্রবেশের পর তারা দেশটিতে আশ্রয় চেয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার (৪ মার্চ) ভারতের একজন পুলিশ কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গত বুধবার সামরিক জান্তার নির্দেশ না মেনে মিয়ানমারের তিন পুলিশ কর্মকর্তা পালিয়ে এসে ভারতে আশ্রয় চেয়েছেন। তাঁরা সীমান্ত পেরিয়ে মিজোরামে চলে আসেন।
আশ্রয়প্রার্থীদের সবাই বার্মিজ পুলিশের নিম্নপদস্থ সদস্য বলে জানা গেছে। ভারতে প্রবেশের সময় তাদের সবাই নিরস্ত্র ছিলেন। তবে বিষয়টি স্পর্শকাতর হওয়ায় তাদের নাম প্রকাশ করা হয়নি।
মিয়ানমারে ১ ফেব্রুয়ারির সামরিক অভ্যুত্থানের পর উদ্ভূত পরিস্থিতিতে দেশটি থেকে আরও অনেকে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে প্রবেশ করতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। গোয়েন্দা তথ্যেও এর ইঙ্গিত মিলেছে।
এদিকে মিয়ানমারের সেনা ও পুলিশ সদস্যরা চীনা অ্যাপ টিকটক ব্যবহার করে বিক্ষোভকারীদের ‘দেখামাত্র গুলি’র হুমকি দিচ্ছে বলে জানা গেছে। বুধবার জান্তাবিরোধী অন্তত ৩৮ বিক্ষোভকারী নিহতের মধ্যেই টিকটক ব্যবহার করে এ ধরনের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। তবে এমন পরিস্থিতিতেও জীবনের পরোয়া না করে বৃহস্পতিবার ফের রাজপথে নেমেছে আন্দোলনকারীরা।
গত ১ ফেব্রুয়ারি সেনা অভ্যুত্থানের পর থেকে মিয়ানমারে ব্যাপক গণবিক্ষোভ এবং নাগরিক অসহযোগ আন্দোলন চলছে। বিক্ষোভকারীরা সেনা শাসনের অবসান এবং দেশটির নির্বাচিত নেতাদের মুক্তির দাবি করছেন। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় দেশটির অভ্যুত্থান এবং বিক্ষোভকারীদের ওপর সহিংস নিপীড়নের নিন্দা জানালেও সেসব কানে তুলছে না জান্তা সরকার।
মিয়ানমারে নিযুক্ত জাতিসংঘের দূত ক্রিস্টিন শার্নার বার্গেনার বলেছেন, নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানের হতবাক করা ফুটেজ সামনে আসছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বিক্ষোভকারীদের ওপর রাবার বুলেট ও তাজা গুলি চালানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার পশ্চিম ইয়াঙ্গুনের শহর পাথেইন-এ বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ গুলি ছুড়েছে। তবে এখন পর্যন্ত সেখানে কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। এর আগে বুধবার পুলিশ ও সেনাসদস্যরা বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে তাজা গুলিবর্ষণ করে। কোনও সতর্ক সংকেত ছাড়াই বিভিন্ন শহর ও নগরে গুলিবর্ষণ করা হয়।
ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে অ্যাক্টিভিস্ট মাউং সাউঙ্গখা বলেন, আমরা জানি যে কোনও সময় আমরা গুলিবিদ্ধ ও নিহত হতে পারি। কিন্তু জান্তার অধীনে বেঁচে থাকার কোনও অর্থ হয় না।
১ ফেব্রুয়ারির ওই সামরিক অভ্যুত্থানের প্রথমদিকে সংযম দেখালেও ক্রমেই সহিংসপন্থায় বিক্ষোভ দমন করার চেষ্টা করছে সামরিক কর্তৃপক্ষ, এতে এখন পর্যন্ত অন্তত ৫০ জন নিহত হয়েছে। সূত্র : রয়টার্স।



 

Show all comments
  • দেশদ্রোহি হতে মন চায় ৫ মার্চ, ২০২১, ৩:৩৯ পিএম says : 0
    একটা ক্লাসলেস দেশের একটা ক্লাসলেস পুলিশবাহিনীর মাঝেও দেশ প্রেম আসে ভাবা যায়!এতে শিক্ষা নেওয়া উচিত এবং ঘুষখুরি আর চাদাবাজি কর্মকান্ড বর্জন করা।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মিয়ানমার


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ