মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
যুক্তরাষ্ট্রের একটি টিকাদান কেন্দ্রে কয়েক হাজার মানুষকে ভুল ডোজ দেয়া হয়েছে। সেখানকার স্বাস্থ্যকর্মীরা জানিয়েছেন, সিরিঞ্জগুলোতে সমস্যার কারণে হিসাবে সেখানে ৪ হাজার ৩০০ মানুষ পরিমাণের তুলনায় কম ভ্যাকসিনের কম ডোজ পেয়েছেন। কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে পর্যাপ্ত সুরক্ষা পেতে যতটা প্রয়োজন, তার চেয়ে কম ডোজ পেয়েছেন তারা।
স্থানীয় গণমাধ্যম কেটিভিইউ জানিয়েছে, ক্যালিফোর্নিয়ার ওকল্যান্ডের ওই টিকাদান কেন্দ্রে যারা সোমবার দুপুরে ২ টার আগে ভ্যাকসিন নিয়েছেন, তারা প্রত্যেকেই সম্ভবত কম ডোজ পেয়েছেন। সেখানে ব্যবহৃত কমলা-ক্যাপ পরানো সিরিঞ্জগুলোর কারণেই এমনটি ঘটেছে। সেগুলো এমনভাবে তৈরি যে, ভ্যাকসিনের সম্পূর্ণ ডোজ তাতে দেয়া যায় না। প্রত্যেককে ভ্যাকসিনের ০ দশমিক ৩ মিলি ডোজ দিতে বলা হয়েছিল। কিন্তু সিরিঞ্জগুলোর ত্রুটির কারণে ০ দশমিক ০৩ থেকে ০ দশমিক ১ মিলি ভ্যাকসিন সিরিঞ্জের ভেতরেই থেকে যাচ্ছিল। যার অর্থ হাজার হাজার লোক প্রয়োজনের তুলনায় এক-তৃতীয়াংশ ডোজ কম নিয়েছেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে কেটিভিইউকে কর্মীরা জানান, সমস্যাটি সনাক্ত ও সমাধানের আগেই প্রায় ৪ হাজার ৩০০ লোক তাদের ভ্যাকসিন গ্রহণ করেছিলেন। তবে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলেছেন যে, গাইডলাইন মেনেই সবাইকে ভ্যাকসিনের একটি করে ডোজ দেয়া হয়েছিল।
ক্যালিফোর্নিয়া অফিসের জরুরি পরিষেবা বিভাগের একজন মুখপাত্র ব্রায়ান ফার্গুসন বলেন, চিকিৎসক এবং ফাইজারের সাথে কথা বলার পরে স্টেকহোল্ডাররা জানতে পেরেছেন যে, কম দেয়ার পরিমাণটি একেবারেই ‘নগণ্য’ এবং এর জন্য রোগীদের কারও সাথে যোগাযোগ করার প্রয়োজন নেই।
তবে কম ডোজ দেয়ার ক্ষেত্রে ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা সন্ধানের জন্য কোনও বৈজ্ঞানিক গবেষণা হয়নি এবং এ কারণে কি ধরণের সমস্যা হতে পারে তা নিয়ে বিশেষজ্ঞরাও দ্বিধা-বিভক্ত। সংক্রামক রোগের চিকিৎসক পিটার চিন-হংক কেটিভিউকে বলেন, কারও আতঙ্কিত হওয়া উচিত নয়। তিনি বিশ্বাস করেন যে, দ্বিতীয় দফায় ভ্যাকসিন গ্রহণ করলে সব ঠিক হয়ে যাবে। তবে, আপাতত যারা কম ভ্যাকসিন নিয়েছেন তাদের উচিত এমনভাবে থাকা, যেন তারা টিকা গ্রহণ করেননি।
ইউসি বার্কলে পাবলিক হেলথের সংক্রামক রোগ এবং ভ্যাকসিনোলজির ক্লিনিকাল প্রফেসর জন স্বার্টজবার্গ বলেছেন, যে সমস্ত লোক কম ভ্যাকসিন পেয়েছেন তাদের জন্য দ্বিতীয়বার ভ্যাকসিন গ্রহণের তিন মাস পরে বুস্টার শট লাগতে পারে। প্রসঙ্গত, এখনও ওই টিকাদান কেন্দ্রে একই সিরিঞ্জ ব্যবহার করা হচ্ছে। তবে স্বাস্থ্যকর্মীরা সমস্যাটি কাটিয়ে উঠতে এখন ০ দশমিক ৪ মিলি ভ্যাকসিন দিয়ে ভরাচ্ছেন। সূত্র: ইউকে মেট্রো।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।